মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম [ এ টু জেট জানুন ] ২০২৫

ড্রাইভিং লাইসেন্স রেনু করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন ২০২৫প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন । তবে আপনারা সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন আমাদের এই ওয়েবসাইটে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত এর সম্পর্কে জানাবো তার আগে জানতে হবে কিছু তথ্য। মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স করা বাধ্যতামূলক। এটি কেবল আইনি দায়িত্ব নয়, বরং আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। 
মোটরসাইকেল-ড্রাইভিং-লাইসেন্স
সঠিক নিয়ম মেনে লাইসেন্স করতে কিছুটা সময় এবং প্রচেষ্টা লাগলেও এটি আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে অনেক ঝামেলা থেকে রক্ষা করবে। তাই, দেরি না করে এখনই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার প্রক্রিয়া শুরু করুন এবং সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।আপনি যদি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে  মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে এ সকল বিষয়গুলো জানতে পারবেন চলুনচলুন  জেনে নেওয়া যাক

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

মোটরসাইকেল-ড্রাইভিং-লাইসেন্স
মোটরসাইকেল চালানো যেমন একটি শখ তেমনি এটি অনেকের জন্য প্রয়োজনও। তবে বাংলাদেশের রাস্তায় বৈধভাবে মোটরসাইকেল চালাতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাইভিং লাইসেন্স কেবল একটি আইনি নথি নয়, এটি চালকের যোগ্যতার প্রমাণ। তাই, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম এবং ধাপ অনুসরণ করতে হয়। এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কীভাবে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায় এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি

ড্রাইভিং লাইসেন্স হল একটি আইনি নথি, যা কোনো ব্যক্তি গাড়ি, মোটরবাইক, বা অন্যান্য যানবাহন চালানোর অনুমতি প্রদান করে। এটি সংশ্লিষ্ট দেশের পরিবহন বিভাগ বা কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইস্যু করা হয় এবং এটি চালকের পরিচয় ও সক্ষমতার প্রমাণস্বরূপ কাজ করে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সে সাধারণত নিচের তথ্যগুলো থাকে --
  • ব্যক্তির নাম ও ছবি
  • জন্মতারিখ
  • ঠিকানা
  • লাইসেন্স নম্বর
  • লাইসেন্সের ধরন (যেমন, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, ট্রাক ইত্যাদি)
  • লাইসেন্স ইস্যু এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ

কেন ড্রাইভিং লাইসেন্স গুরুত্বপূর্ণ?

  • আইনি বাধ্যবাধকতা -- যানবাহন চালানোর জন্য এটি একটি আবশ্যিক নথি।
  • চালকের দক্ষতা -- এটি প্রমাণ করে যে আপনি যানবাহন চালানোর জন্য প্রশিক্ষিত এবং অনুমোদিত।
  • পরিচয়পত্র -- এটি একটি সরকারি পরিচয়পত্র হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
  • বীমা দাবি -- দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বীমা ক্লেইম করতে হলে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা প্রয়োজন।
যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে এবং আপনি যানবাহন চালান, তাহলে আপনাকে জরিমানা বা আইনানুগ শাস্তির মুখোমুখি হতে হতে পারে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন প্রয়োজন?

ড্রাইভিং লাইসেন্সের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। এটি শুধু আপনার দক্ষতার প্রমাণ নয়, বরং এটি আইন মেনে চলারও নির্দেশনা দেয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে নিম্নলিখিত সমস্যা দেখা দিতে পারে --
  • জরিমানা ও শাস্তি -- রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক ধরা পড়লে মোটা অংকের জরিমানা হতে পারে।
  • আইনগত ঝুঁকি -- দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা এড়াতে ড্রাইভিং লাইসেন্স অত্যাবশ্যক।
  • বীমা দাবির সমস্যা -- কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বীমার টাকা পাওয়ার জন্য বৈধ লাইসেন্স থাকা প্রয়োজন।

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে যোগ্যতা

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হবে। বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের লাইসেন্স পেতে যে নিয়ম মানতে হয় তা হলো --
  • বয়সসীমা -- প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর।
  • শারীরিক সক্ষমতা -- সুস্থ দৃষ্টিশক্তি এবং মানসিক স্থিতিশীলতা থাকতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা -- ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস।
  • পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি -- ট্রাফিক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
লাইসেন্স প্রাপ্তির ধাপসমূহ
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এই ধাপগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো --
আবেদনপত্র পূরণ করুন
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রথমে অনলাইনে অথবা সরাসরি বিআরটিএ (BRTA)-এর অফিসে আবেদনপত্র পূরণ করতে হয়। আবেদনপত্র পূরণ করার সময় যে তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে তা হলো:
  • প্রার্থীর নাম
  • ঠিকানা
  • জন্মতারিখ
  • জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
আবেদন ফি জমা দিন
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়। ফি সংক্রান্ত তথ্য বিআরটিএর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

লিয়ার্নার কার্ড নিন
আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে একটি লিয়ার্নার কার্ড ইস্যু করা হয়। এটি মোটরসাইকেল চালানোর জন্য অস্থায়ী অনুমতি।

প্রশিক্ষণ নিন
লিয়ার্নার কার্ড পাওয়ার পর প্রার্থীকে মোটরসাইকেল চালানোর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এই সময়ে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিন
প্রশিক্ষণের পর বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষার বিষয়গুলো হলো ---
  • ট্রাফিক চিহ্ন চেনা
  • রাস্তার সুরক্ষা
  • মোটরসাইকেল চালানোর দক্ষতা

ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হওয়ার সময়কাল

লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা সফলভাবে পাস করলে প্রার্থীকে চূড়ান্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়। সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। তবে এই সময়কাল ভিন্ন হতে পারে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার পদ্ধতি

ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তা নবায়ন করতে হবে। নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে পুনরায় আবেদন করতে হয়। লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়াটি সহজ এবং অনলাইনের মাধ্যমেও করা সম্ভব।

বিআরটিএ-র অফিস এবং অনলাইন সেবা

বর্তমানে বিআরটিএর অফিসের পাশাপাশি অনলাইনেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সুবিধা চালু রয়েছে। এতে সময় বাঁচে এবং প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • প্রয়োজনীয় নথি সবসময় সাথে রাখুন -- জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ইত্যাদি।
  • পরীক্ষার প্রস্তুতি নিন -- লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিন।
  • লাইসেন্সের মেয়াদ দেখুন -- মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে নবায়ন করুন।
  • বীমা করুন -- দুর্ঘটনা মোকাবিলায় বীমা অত্যন্ত কার্যকর।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি জমা দেওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি জমা দেওয়ার জন্য দুটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে: অনলাইন পেমেন্ট এবং অফলাইন পেমেন্ট। নিচে উভয় পদ্ধতির ধাপগুলো বর্ণনা করা হলো --

১. অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা --
  • BRTA-এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেমেন্ট -- প্রথমে BRTA-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। এরপর Payment অপশনে প্রবেশ করুন। এখানে ফি প্রদানের জন্য পেমেন্ট অপশনটি নির্বাচন করুন এবং মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, রকেট, নগদ), ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য উপলব্ধ পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে ফি প্রদান করুন। সফল পেমেন্টের পর একটি রসিদ পাবেন, যা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন।
  • মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট -- মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হলে প্রথমে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ (বিকাশ, রকেট, নগদ) খুলুন। পেমেন্ট মেনুতে যান এবং “BRTA” বা “Government Fee” নির্বাচন করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য (যেমন: রেফারেন্স নম্বর, ফি পরিমাণ) পূরণ করুন এবং পেমেন্ট সম্পন্ন করে নিশ্চিতকরণ রসিদ সংরক্ষণ করুন।
২. অফলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি --
অফলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে আপনি ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে পেমেন্ট করবেন। দোকানদারকে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি'র ব্যাংকের চালান ফরম পূরণ করতে হবে এবং নিবন্ধিত কাউন্টারে ফি জমা দিতে হবে। ফি জমা দেয়ার পর, একটি রসিদ পাবেন, যা BRTA অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার সময় প্রয়োজন হবে। এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলেই আপনি সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি জমা দিতে সক্ষম হবেন।

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তিক ফি নির্ধারন করা আছে তবে এই ফি দুই ভাগে দিতে হয় প্রথমটি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় এবং দ্বিতীয়টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে প্রদান করতে হয়। এই ফি সমূহ অনলাইন ব্যাংকিং এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যেকোনো সময় পরিশোধ করা যায়, নিম্নে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত তা আলোচনা করা হল।
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি --
  • শুধুমাত্র মোটরসাইকেল অথবা হালকা মোটরযান অর্থাৎ যে কোনো এক ধরণের মোটরযান এর জন্য ৩৪৫ টাকা
  • মোটরসাইকেল এবং হালকা মোটরযান একসাথে অর্থাৎ মোটরসাইকেলের সাথে যে কোনো এক ধরণের মোটরযান এর জন্য ৫১৮ টাকা।
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি  --
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ১৬৮০/-টাকা (০৫ বছরের)
  • অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২৫৪২টাকা (১০ বছরের)

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম

বাংলাদেশে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BRTA) এর নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হয়। আপনি নিচে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি দেখতে পারেন --
যেখানে আবেদন ফরম পাবেন --
  • BRTA অফিস থেকে
  • সরাসরি নিকটস্থ BRTA অফিসে গিয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন।
অনলাইনে --
BRTA-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে (https://brta.gov.bd/) আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় ধাপ --
আবেদন ফরম পূরণ --
  • ফরমে সঠিক তথ্য পূরণ করুন। যেমন -- ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ)
  • জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
  • মোটরসাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা (যদি প্রযোজ্য হয়)
প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্তি --
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট (BRTA নির্ধারিত ফর্ম অনুযায়ী)
  • ফি পরিশোধের রসিদ
ফি পরিশোধ --
  • নির্ধারিত ব্যাংকে আবেদন ফি জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করুন।
দ্বিতীয় ধাপ (লার্নার লাইসেন্স)
প্রথমে "লার্নার লাইসেন্স" এর জন্য আবেদন করতে হবে।
লার্নার লাইসেন্স পেয়ে আপনি তিন মাস পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালানোর প্র্যাকটিস করতে পারবেন।

থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা --
নির্ধারিত সময়ে থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে হবে। সফলভাবে উতীর্ণ হলে পূর্ণাঙ্গ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন ফরম ডাউনলোড বা প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য উপরের লিংকে ভিজিট করুন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জরিমানা ও শাস্তি

  • আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে বা ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করলে এবং লাইসেন্স হস্তান্তরসহ লাইসেন্স সংক্রান্ত বিভিন্ন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইনটিতে।
  • ধারা- ৬৬
  • অপরাধের ধরণ -- ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরযান ও গণপরিবহন চালনা বিধি নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ৪ এবং ৫ এর বিধান লঙ্ঘন করলে শাস্তির বিধান রয়েছে। জরিমানা: অনধিক ২৫ হাজার টাকা; দন্ড: অনধিক ৬ মাস।
  • ধারা- ৬৭
  • অপরাধের ধরণ -- ড্রাইভিং লাইসেন্স হস্তান্তর সংক্রান্ত ধারা ৬ এর বিধান লঙ্ঘন করলেও শাস্তি হবে। এক্ষেত্রে জরিমানা: অনধিক ০৫ হাজার টাকা; দন্ড: অনধিক ০১ মাস।
  • ধারা- ৬৮
  • অপরাধের ধরণ -- বিদেশী নাগরিক দিয়ে এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান বা লাইসেন্স প্রদত্ত শর্ত অমান্য সংক্রান্ত ধারা ৯ এর বিধান লঙ্ঘন করলে আপনার শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। জরিমানা: অনধিক ৩০ হাজার টাকা।
  • ধারা- ৬৯
  • অপরাধের ধরণ -- কর্তৃপক্ষ ব্যতিত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত , প্রদান বা নবায়নে বিধি নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ১০ এর বিধান লঙ্ঘন করলে আপনার শাস্তি হবে। জরিমানা: অনূন্য ০১ লক্ষ টাকা অনধিক ০৫ লক্ষ টাকা; দন্ড: অনূন্য ০৬ মাস অনধিক ০২ বছর।
  • ধারা- ৭০
  • অপরাধের ধরণ -- ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বাতিল করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক মোটরযান চালানোর উপর বিধি নিষেধ সংক্রান্ত ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করলে শাস্তির বিধান রয়েছে। জরিমানা: অনধিক ২৫ হাজার টাকা; দন্ড: অনধিক ০৩ মাস।
  • ধারা- ৭১
  • অপরাধের ধরণ -- ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বাতিল করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক মোটরযান চালানোর উপর বিধি নিষেধ সংক্রান্ত ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করলে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। জরিমানা: অনধিক ০৫ হাজার টাকা; দন্ড: অনধিক ০১ মাস।
  • ধারা- ৯৬
  • অপরাধের ধরণ -- মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনা সংক্রান্ত ধারা ৬৩ এর বিধান লঙ্ঘন করলে সে স্কুল বা পরিচালনা শাস্তি পাবেন। জরিমানা: অনধিক ১ লক্ষ টাকা; দন্ড: কর্তৃপক্ষ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল বন্ধ করতে পারবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষার নিয়মাবলী

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে BRTA তে তিন ধরনের পরীক্ষা হয়ে থাকে।
  • রাইটিং
  • ভাইবা
  • প্রাকটিক্যাল
রাইটিং -- রাইটিং এ ২০ মার্কের পরীক্ষা থাকবে। সময় দেয়া হবে ২০ মিনিট। ১২ পেলে আপনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন।
ভাইবা -- ভাইবাতে আপনাকে বিভিন্ন রোড সাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।
প্র্যাকটিক্যাল -- যে যে বিষয়ের উপর লার্নার আবেদন করেছেন। অর্থাৎ যদি বাইকের জন্য লাইসেন্সের আবেদন করে থাকেন তাহলে বাইক চালিয়ে দেখাতে হবে। আবার যদি গাড়ির জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনাকে গাড়ি চালিয়ে দেখাতে হবে। উভয়ের জন্য আবেদন করে থাকলে বাইক এবং গাড়ি দুটি চালিয়ে দেখাতে হবে।

সর্বশেষ কথাঃ মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

আশা করি আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম এবং আরো জানতে পেরেছেন লাইসেন্স কত প্রকার এবং কি কি ও কোন লাইসেন্স এ কত টাকা প্রয়োজন হয়। যদি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা শেয়ার করবেন এবং আমার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

in-article

Post Page Ad After Post Ends