মধু খাওয়ার ২০টি উপকারিতা - মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা

 পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ খাদ্য তালিকাপ্রাচীন কাল থেকেই আমরা জেনে আসছি মধুর উপকারিতা। আপনি কি জানেন মধু খেলে কি কি উপকার পাবেন। বৈজ্ঞানিদের মতে নিয়মিত মধু খেলে আপনার শরীরের অনেক রোগ ভাল হয়ে যায়। আজকে আমরা জানবো মধুর খাওয়ার ২০টি উপকারিতা,এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও সঠিক নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি যদিও এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে। আপনি জানতে পারবেন মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সঠিক নিয়ম আরো কিছু সংক্রান্ত রোগ থেকে কি ভাবে মুক্তি পাবেন মধু খেয়ে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো;

মধু খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা

প্রাচীনকাল থেকে আমরা জেনে আসছি মধুর উপকারিতা সম্পর্কে। হাজার বছর ধরে এটি মানুষের নিকট একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। বর্তমান সময়ে মধু যেমন খুব দামি তেমনি বেশ চাহিদা সম্পন্ন মধু সেবনে বিভিন্ন রোগবালায় থেকে সহজে আরোগ্য লাভ করা যায়। চলুন তা জেনে নেওয়া যাক''

1.বুদ্ধি বিদ্যিতে মধুঃ মধু খেলে আপনার বুদ্ধি বাড়তে সাহায্য করবে মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ক্যালসিয়ামের মত উপাদান যা স্নায়ু ও মস্তিষ্কের কোশ সুদৃঢ় করে। যার ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ বুদ্ধির বিকাশ ঘটে'

2.রক্তের সমস্যায় মধুঃ নিয়মিত মধু খেলে রক্তনালী পরিষ্কার থাকে সেখানে  কোন দূষিত পদার্থ রক্তের সাথে জমা হতে পারে না। মধু রক্তনালী প্রসারন করে যার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া মধুতে থাকা ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যাদের রক্তস্বল্পতা রোগ আছে তারা নিয়মিত মধু খেলে উপকার পাবেন।
3.গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের সমস্যাঃ পেটের সমস্যা নিরাময়ের জন্য মধু খুব কার্যকর নিয়মিত মধু খেলে গ্যাসটিক ও আলসারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত মধু খেলে বয়সের ছাপ দেরিতে আসে।

4.হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট রোগের নিরাময়ঃ মধু হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট রোগ সারাতে সাহায্য করে। যদি একজন হাঁপানি রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নেওয়া যায় তাহলে গভীরভাবে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারবে। অনেকেই মনে করে এক বছরে পুরনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য বেশ উপকারি।

5.হজমশক্তি বৃদ্ধিঃ মধুতে বিদ্যমান শর্করা থাকে যা সহজেই হজম হয়। কারণ এতে যে ডেক্মট্রিন থাকে তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কার্যক্রম চালায় তাই বদহজমের সমস্যা দূর হয়। সুতরাং যাদের হজমের সমস্যা আছে। তারা নিয়মিত মধু সেবন করতে পারেন এতে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

6.কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ার দূর করতেঃ মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা ডায়রিয়া ও
কোষ্ঠকাঠিন্য  রোগ দূর করতে সাহায্য করে। সকালে নিয়মিত এক চা চামচ মধু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

7.পানি শূন্যতায় মধুঃ ডায়রিয়া হলে শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এ সময় এক লিটার পানিতে ৫০ মি.লি মধু মিশিয়ে পান করলে খুব সহজেই শরীরের পানি শূন্যতা দূর করা যায়।

8.হৃদরোগের জন্য মধুঃ মধু হৃদরোগের জন্য বেশ কার্যকরী কারণ মধু কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এক চা চামচ মুড়ি গুড়ের সাথে ১ বা ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে তা হৃদরোগের টনিকের মতো কাজ করে।

9.উচ্চ রক্তচাপ কমাতেঃ নিয়মিত মধু সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা ২ চা চামচ মধুর সঙ্গে একটা চা চামচ রসুনের রস মিশিয়ে খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে প্রতি দিন সকালে খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা আগে খাওয়া উচিত।

10.ওজন কমাতে মধুঃ মধুতে কোন চর্বি নেই মধু খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে যার ফলে প্রতিদিন মধু খেলে ওজন কমতে সাহায্য করে।

11.পাকস্থলী সুস্থতায়ঃ মধু গ্লাইকোজেনের লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখে যার ফলে মধু খেলে পাকস্থলী সুস্থ থাকে। তাছাড়া মধু খেলে হজম শক্তি বাড়ে তাই পাকস্থলীর কাজও বৃদ্ধি পায়।

11.হাড় ও দাঁতের গঠনঃ ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠনে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মধু নিয়মিত খেলে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হবে কারণ মূলত প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। মধু খেলে হাড়ের ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে তাই হাড় ও দাঁত কে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নিয়মিত মধু খেতে হবে।

11.ক্যান্সার প্রতিরোধে মধুঃ মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধ করে এবং কোষ কে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

14.সর্দি জ্বরের উপশয়েঃ সর্দি কাশি ও জ্বর থেকে উপশম পেতে মধু অনেক উপকারী এক্ষেত্রে মধুর সঙ্গে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে অনেক উপশম পাওয়া যায়।

15.যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মধুঃ অনেকেই যৌন দুর্বলতায় ভোগেন অনেক ছেলের দ্রুত বীর্যপাত হয় বা যৌন ইচ্ছা কমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মধু নিয়মিত সেবন করলে ওষুধের মত কাজ করে। তাই যারা দুর্বলতায় ভোগেন তারা নিয়মিত মধু খেতে পারেন যার ফলে যৌন দুর্বলতা কমে যাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

16.ক্ষত নিরাময়ে মধুঃ মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল নামক উপাদান রয়েছে। যা মধু ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন ও সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণু বৃদ্ধি রোধ করে। প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী ক্ষত নিরাময় ত্বকে সরাসরি মধু ব্যবহার করা হতো।

17.অনিদ্রা জনতি সমস্যাঃ মধুকে ঘুমের প্রাকৃতিক ওষুধ বলা যেতে পারে। মধু ঘুমের জন্য খুবই উপকারী রাতে ঘুমানোর পূর্বে মধু খেলে গভীর ঘুম হয়।

18.শরীরকে সতেজ রাখতেঃ শীতের দিনে কুসুম গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে পান করলে শরীর গরম হয় সাথে শরীর ঝরঝরে ও সতেজ থাকে।

19. মধুতে খনিজ উপাদানঃ  মধুতে রয়েছে বিভিন্ন খনিজ উপাদানসমূহ। নিয়মিত মধু পানে আমাদের শরীরে এসব খজিনের (কপার, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি) অভাব পূরণ হয়৷

20. শরীরে তাপমাত্রা বাড়াতেঃ অনেকের অনেক সময় শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে নিয়মিত মধু সেবন করুন এতে উপকার পারেন। 

মধু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসে। এইটা আমরা সবাই জানি অনেকেই নিজের মত করে মধু খেয়ে থাকি যা মোটেও উচিত না। কাজে প্রতিটি জিনিসেরই খাওয়ার নিয়ম রয়েছে চলুন জেনে নেয়া যাক মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি;

মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি

  • প্রত্যেকদিন সকালে এক টেবিল চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন যা এটি আপনার শরীরের জন্য বেশ উপকার।
  • রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেতে পারেন।
  • লেবুর সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • তুলসী পাতার রসের সাথে মধু খেতে পারেন।
  • কালোজিরা সাথে মধু খেলে শরীরের জন্য বেশ উপকারে আসবে।
  • পাউরুটির সাথে জেলীর পরিবর্তে মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • কেকে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করে খেতে পারেন।

রূপচর্চা ও চুলের যত্নে মধুর ব্যবহারঃ

মধুর যে কত গুনাগুন রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। তবে আমাদের জীবনে মধু একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ দৈনন্দিন জীবনে মধুর ব্যবহারে অনেক তেমনি রূপচর্চা ও চুলের যত্নে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় তা আলোচনা করা যাক
  • মধুতে থাকা এনজাইম ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাছাড়া মধুতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ভারসম্যাতা রক্ষা ও কালচে ভাব দূর করে। মধু দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক হবে দাগহীন ও সুন্দর। এক্ষেত্রে এক চামচ মধু ও এক চা চামচ উপটান এর একটি মিশ্রণ তৈরি করে মুখে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন এতে মুখ শুষ্ক উজ্জ্বল দেখাবে।
  • মুখে ব্রণ বা রোদে পোড়া ভাব দূর করতে মধু আমন্ড অয়েল অয়েল গুড়া দুধ এবং লেবুর রস একসাথে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন এই পেস্ট মুখের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
  • মধু প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসাবে বেশ পরিচিত এক টেবিল চামচ মধু মুখে লাগে রাখুন ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন যার ফলে ত্বক মসৃণ কমল নমনীয় হবে।
  • ত্বক উজ্জ্বলবৃদ্ধি করতে মধুর জুড়ে মেলা ভার। নিয়মিত মধু ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এক টেবিল চামচ মধু এক চা চামচ টক দই ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখাবে।
  • মধু ও অলিভ অয়েল ত্বকের দিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন এতে ত্বকের মৃত কোষ গুলো সজীবতা ফিরে পাবে।
  • লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মালিশ করুন ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে এক সপ্তা ব্যবহার করলে চুলের খুশী দূর হবে।
  • গোসলের আগে গরম অলিভ অয়েল এর সাথে একটা চামচ মধু মিশিয়ে চুলের গোড়ায় দিন এরপর ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন এর ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
  • এক টেবিল চামচ মধুর সাথে দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে রুক্ষ শুষ্ক চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে 20 থেকে 30 মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে চুল প্রানবনতা সুস্বাস্থ্য উজ্জ্বলতা হবে।

অতিরিক্ত মধু খাওয়ার অপকারিতা

আমরা জানি মধু অত্যন্ত উপকারী এক প্রাকৃতিক উপাদান তবে মধু খাওয়ার পরিমাণ বেশি হলে। হতে পারে নানা বিধি সমস্যা যেমন;
  • অত্যাধিক মধু খেলে দাঁতের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মধু বেশি খেলে তার দাঁতের ফাঁকে জমে যায় ফলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাছাড়া দুর্গন্ধ সহ একাধিক জটিলতা দেখা দিতে পারে তাই অতিরিক্ত মধু খাওয়ায় ভালো।
  • চিনির তুলনায় মধু অধিক উপকারী তাই চিনির বদলে মধু খেলে শরীরের উন্নতি হয়। কিন্তু ডাইবেটিকস রোগীদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত মধুতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ পাওয়া যায়। যা রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়ি দিতে পারে ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হতে পারে।
  • মধু খেলে এলার্জি হওয়ার কথা নয় তবুও কিছু সংখ্যক মানুষের শরীরে মধু খাওয়ার ফলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে পেটে ব্যথা বমি ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দেয় এর জন্য অতিরিক্ত মধু খাওয়া ভালো না।

খাঁটি মধু চেনার সঠিক উপায়

মধুর পুষ্টিগুণ অনেক রয়েছে তবে তা অবশ্যই খাঁটি মধু হতে হবে। আর এই খাঁটি মধু চিনতে হলে আমাদের কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। তো চলুন কি সেই কৌশল জেনে নেওয়া যাক;
  • একটি ক্লাসে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ পরিমাণ মধুদিন এরপর আস্তে আস্তে গ্লাস নাড়া দিতে হবে। যদি পানির সঙ্গে মধু মিশে যায় তাহলে নিশ্চিত হবেন সেটা ভেজাল মধু আর যদি পন্ডের মত গ্লাসের পানিতে সরে যায় তাহলে তা খাটি মধু বলা যায়।
  • ভিনেগারের সাহায্যে খাঁটি মধু নির্ণয় করা যায়। ভিনেগার গোলানো পানিতে কয়েক ফোটা মধু মেশালে যদি মিশ্রনের ফেনা দেখা দেয় তাহলে সেটি ভেজাল মধু।
  • খাঁটি মধুতে কাঠি ডুবিয়ে আগুন ধরালে সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠবে আর যদি না জ্বলে ওঠে তাহলে তা ভেজাল মধু।
  • খাঁটি মধু ফ্রিজে রাখলে জমাট বাঁধে না বা দানা দানা ভাব হবে না ঘন তরল ভাব টান থাকবে আর ভেজাল মধু ফ্রিজে রাখলে জমে যাবে বা ঘন টান ভাব মতো দানা দানা ভাব জমা হবে।
  • খাঁটি মধু আঙ্গুলে নিলে তা সহজে ছড়িয়ে পড়ে না কারণ খাঁটি মধু বেশ ঘন আর ভেজাল মধু সহজে ই ছড়িয়ে পড়ে।
  •  ভেজাল মধুতে ফেনা হয় তাছাড়া মধুতে টক টক গন্ধ থাকে আর খাঁটি মধুতে ফেনা হয় না।
  •  বেশ কিছুদিন ঘরে মধু থাকলে চিনি এর মতই জমতে থাকে এক্ষেত্রে হালকা গরম পানিতে বউংস সহ রাখলে তা আবার আগের মত হয়ে থাকে কিন্তু নকল মধু এমন হবে না।
  • এক টুকরো ব্লিডিং পেপারে কয়েক ফোটা মধু দিন যদি তা সম্পন্ন শুষে নেয় তাহলে তা খাটি মধু নয়।
  • এক টুকরো সাদা কাপড়ে মধু মাখান আধা ঘন্টা পর টা ধুয়ে নিলে যদি দাগ থেকে যায় তাহলে তা খাটি মধু নয়।
সম্মানিত পাঠ্যবৃন্দ উপরের এ তথ্যগুলো দিয়ে আমরা কোনটা খাঁটি মধু এবং কোনটা ভেজাল মত তা নিমিষে ই পরীক্ষা করে দেখতে পারি।

মধু কতদিন ভালো থাকে

প্রকৃতিতে প্রাপ্ত একমাত্র খাদ্য যা সহজে নষ্ট হয় না সবসময় সতেজ থাকে বছরের পর বছর মধু রেখে দিলেও তা নষ্ট হয় না। মধুতে পানির পরিমাণ থাকে শুধু নাম মাত্রই এতে সুক্রেজের পরিমাণ একটু বেশি থাকে যার ফলে মধু শুকিয়ে যায় না বাইরের কোন জীবাণু সহজে মধুর সংস্পর্শে আসতে পারে না। এছাড়া মধুতে গ্লোকোনিক এসিড থাকে যা মধুর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হতে দেয় না।
মৌমাছিরা যখন নিকটার তৈরি করে তখন গ্লোকোনিক এসিড এ্রর ক্ষরণ বেড়ে যায়। মৌমাছি নিকটারের গ্লুকোজ অক্রাইড নামক এক বিশেষ ধরনের এনজাইম ক্ষরণ করে এর কারনে মধুতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড তৈরি হয়। এই উপাদান মধুতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসাবে কাজ করে এজন্য মধু দীর্ঘদিন সময় সুরক্ষিত থাকে।

শেষ কথাঃ মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা

প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত উপকারী খাদ্যের মধ্যে মধু অন্যতম। হাজার বছর ধরে এটি মানুষের নিকট একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ধারণা করা হয় যে, প্রাচীন মিশরীয়রা সর্বপ্রথম মধুকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার প্রচলন শুরু করে। এর হাজার বছর পর আজ এটি শুধু খাদ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি! সময়ের পরিক্রমায় মানুষের নিকট গুরুত্বপূর্ণ ঔষধে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সময়ে মধু এমন একটি নেয়ামত যা আমাদের সুস্থ রাখতে খুবই উপকারি। আমাদের সুস্থ থাকতে জন্য সকলকেই নিয়ম মেনে প্রতিদিন মধু সেবন করা একান্ত প্রায়োজন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url