মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়


প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। তাহলে এ পোস্টটি আপনার জন্য চলুন জেনে নেওয়া যাক, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়। আপনি যদি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন। মুখের দুর্গন্ধ দূর করা এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্পর্কে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়
মুখের দুর্গন্ধ যদিও একটি ছোট মানের সমস্যা তবে মানব জীবনে এর বিরূপ প্রভাব বেশি। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে গ্যাসের সমস্যা। অর্থাৎ আমাদের যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের মুখের দুর্গন্ধ হওয়া স্বাভাবিক। তাই মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। এছাড়া প্রতিদিন দুইবেলা ব্রাশ করা এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি এতে ভাল ফলাফল পাবেন।

ভূমিকা

মুখের দুর্গন্ধ নানা কারণে হতে পারে। দাঁতে ক্যারেজ হলে, দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে তা পচে গিয়ে ইনফেকশন, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, মুখে ক্যান্সার, ঘা, ফোড়া, বদহজম, আলসার, অ্যাসিডিটি, লিভারে সমস্যা ইত্যাদি। এছাড়া বাতে সমস্যা, ডায়াবেটিস, গর্ভাবস্থায়, টনসিলে সমস্যা এবং সাইনুসাইটিস হলে মুখে দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করা যেতে পারে। অর্থাৎ ঘরে বসেই এই টিপস গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়

লক্ষ্য করা যায় যে সকালে ঘুম থেকে উঠলে মূখের নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ অনুভব করা যায়। এটি একটি সাধারণ সমস্যা এবং আমাদের সকলকেই এটি মোকাবেলা করতে হয়। কিন্তু কারো কারো মুখে সর্বদা গন্ধ থাকে। যার ফলে মুখের দুর্গন্ধের কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। কারো সঙ্গে কথা বলতে গেলে বিবৃত লাগে হাসতে ও পারে না প্রাণ খুলে।

কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি চলুন জেনে নেই। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার দশটি ঘরোয়া উপায়,

লবণঃ আমাদের রান্নাঘরে থাকা অতি সাধারণ উপাদান হচ্ছে লবণ। যা মুখের নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এবং মাড়ি ফোলা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এর বৈশিষ্ট্য। এই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যার কমায়।

এবং দাঁতের অন্যান্য সমস্যা যেমন রক্তপাত এবং দাঁতের ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি কমায়। মুখের নিঃশ্বাসের গন্ধ দূর করতে কয়েক টুকরা লবণ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। যার ফলে সহজেই মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

দারুচিনিঃ রান্নাঘরের আরেকটি উপাদান হলো দারুচিনি আপনার মুখে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।মিষ্টি স্বাদের এই দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী খাবার ও ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে।

দারুচিনির ছোট এক টুকরা মুখে নিয়ে কয়েক মিনিট চিবিয়ে ফেলে দিতে পারেন। এমনকি খেয়েও নিতে পারেন এর ফলে আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে এবং নিঃশ্বাস সতেজ হবে।

পানিঃ দিনে কম পরিমাণে পানি পান করলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। পানি মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে সাহায্য করে এবং ব্যাকটেরিয়া রোধ করে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে আপনার শ্বাস সতেজ থাকবে আর যদি মুখের দুর্গন্ধ অনুভব করেন। তা না হলে দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন তাহলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

মধু-দারুচিনিঃ মধু ও দারুচিনি উভয়ে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াএবংঅ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা মুখের গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং মাড়ি কে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। দাঁত ও মাড়িতে নিয়মিত মধু ও দারুচিনির পেস্ট লাগালে মূখের নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দূর হয়। দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাতের সমস্যা দূর করে। এমনকি দাঁতের ক্ষয় দূর করতে সাহায্য করে মধু ও দারুচিনি

লবণ-পানির গার্গলঃ হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়া নিমিষেই দূর হয়ে যায়। যার ফলে নিঃশ্বাস সতেজ হয় এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে হাফ চা চামচ লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে হবে, তাহলে মুখের দুর্গন্ধ থাকলে নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। এমনকি মুখে দুর্গন্ধ থাকলে বাইরে খাওয়ার আগে আপনি এই কাজটি করে নিতে পারেন।

পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতাতে প্রাকৃতিক মাউন্ট ফ্রেশনার বলা যেতে পারে। পুদিনা পাতা খেলে নিঃশ্বাস মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। পানিতে কয়েক ফোটা পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে গড়গড়া করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস হয়। তাছাড়া মুখের গন্ধ হলে দুই বা তিনটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলে এতে মুখের গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।

লেবুর রসঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লেবুর রস বেশ কার্যকরী কারণ লেবুতে থাকা অ্যাসিটিক কনটেন্ট থাকে যা মুখের মধ্যে বাসা বেঁধে থাকা জীবাণুদের ধ্বংস করে ফেলে। তাই আমাদের উচিত হবে মুখের গন্ধ দূর করতে হলে লেবু পানি পান করা দরকার।

নারিকেল তেলঃ এই তেলে উপস্থিত রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে সহজেই মেরে ফেলে। এক চা চামচ নারিকেল তেল মুখে নিয়ে কুলকুচি করতে হবে। ৩-৫ মিনিট তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এর ফলে সহজে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।

বেকিং সোডাঃ ব্রেকিং সোডা শরীরের এসিড এর লেভেল ঠিক রাখে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্যকারী টুথপেস্ট এর সাথে মিশিয়ে ব্রাশ করলেও উপকার পাওয়া যাবে। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে অল্প পরিমাণে ব্রেকিং সোডা মিশিয়ে এই পানি দিয়ে কুল কুচি করলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন।

মেথিঃ এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মেথি ভিজিয়ে নিয়ে ফুটাতে হবে তারপর মেথি বীজ থেকে পানিটুকু চায়ের মত করে পান করতে হবে। অনেকে একে মেথি চা বলে এই মেথি পান করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

মুখে দুর্গন্ধের জন্য কোন ৭টি শারীরিক সমস্যা দায়ী

ডায়াবেটিকস,লিভার, কিডনি, দীর্ঘস্থায়ী, ফুসফুসের রোগ, টনসিল, মাড়ির ইনফেকশন,সাইনাস
অনেক সময় মুখের ও দাঁতের সঠিকভাবে আমরা যত্ন নিতে পারে না। এর কারণে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় না সে ক্ষেত্রে মুখের দুর্গন্ধ হওয়ার জন্য কিছু শারীরিক সমস্যা দায়ী হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মুখের দুর্গন্ধের জন্য কোন ৭টি শারীরিক সমস্যা দায়ী।

ডায়াবেটিকসঃ প্রাথমিক অবস্থায় মুখের দুর্গন্ধ হলে ডায়াবেটিস রোগের অন্যতম লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আক্রান্ত রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির হয় এবং ইনসুলিন এর মাত্রা কমে যায় যার ফলে মুখে ও প্রসাবের উদ্ভট দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।

টনসিলের সমস্যাঃ টনসিলের সমস্যা থাকলে মুখের নিঃশ্বাসের পঁচা মাংসের গন্ধ পাওয়া যায়। টনসিলের কারণে সালফার উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া অধিহারে জন্ম নেয়। যার ফলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।

ফুসফুসের রোগঃ মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ফুসফুসের রোগী একজন ফোসফুস আক্রান্ত রোগীর মুখ থেকে গন্ধ বের হয়। ডাক্তারের পরামর্শে ফুসফুসি রোগের চিকিৎসা করলে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা দুর হয়ে যাবে।

কিডনির সমস্যাঃ যাদের কিডনির কার্যক্ষমতা লোপ পেয়েছে বা কিডনির নানা রকম সমস্যা রয়েছে। তাদের এই সমস্যাগুলোর লক্ষণ একটি হচ্ছে মুখের দুর্গন্ধ এই সমস্যা মুখের নিঃশ্বাসে গন্ধ পাওয়া যায়।

সাইনাসের সমস্যাঃ সাইনাসের সমস্যা হলেও নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ হয়। এর কারণ হচ্ছে নাকে ও গলায় কব জমে থাকা।

মাড়িতে ইনফেকশনঃ যাদের দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন থাকে তাদের মুখে খুবই বাজে ধরনের দুর্গন্ধ হয়ে থাকে।

জেবোস্টেমিয়ার সমস্যাঃ জেবোস্টেমিয়া অর্থাৎ মুখ শুকিয়ে যাওয়া সকালে ঘুম থেকে উঠার পর মুখে যেরকম গন্ধ থাকে সেরকম গন্ধ যদি সারাদিন পাওয়া যায়। তাহলে বুঝে নিতে হবে যে আপনার জেবোস্টেমিয়ার এই সমস্যা রয়েছে। এর ফলে মুখের লালা শুকিয়ে যায় এবং মুখে ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হতে থাকে যার ফলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে থাকে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট

সাদা ঝগঝকে দাঁত কার না ভালো লাগে সুন্দর দাঁত মানে সুন্দর হাসি। এই সুন্দর দাঁতের জন্য আমরা টুথপেস্ট ব্যবহার করি সাধারণত আমরা বিজ্ঞাপন দেখে টুথপেস্ট বেচে নেই। যা একদমই উচিত না বেছে নেওয়ার মানেই দাঁতের ক্ষতি করা। তাই কেনার আগে অবশ্যই আমাদের কিছু যাচাই করে কিনতে হবে।

ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্টঃ ক্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। তাছাড়া ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দাঁতের ক্ষয় বা রোদ করতে সাহায্য করে।

টি ট্রি অয়েলঃ টি ট্রি অয়েল যুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন এমন টুথপেস্ট না থাকলে ব্রাশ করার সময় টি ট্রি অয়েল পেপার মিন্ট অয়েল বা লেমন অয়েল টুথপেস্ট এর সাথে মিশিয়ে নিয়ে উপকার পাওয়া যাবে।

স্ট্রেনশিয়াল ক্লোরাইডঃ এই উপাদান সমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার করলে দাঁতে শিরশির অনুভূতি কম হয়। ডাক্তাররা অনেক সময় দাঁত শিরশির রোগীর জন্য স্ট্রেনশিয়াল ক্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার এর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

পটাশিয়াম নাইট্রেস যুক্ত টুথপেস্টঃ এই উপাদান সমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার করলেও দাঁতের শিরশিরই অনুভূতি কমে এ ধরনের টুথপেস্ট গুলো এনামেলের নিচে থাকা। ডেটটিং এর টিউব গুলো বন্ধ করে দিয়ে দাঁতের শিরশির অনুভূতি কমায়।

বেকিং সোডা যুক্ত টুথপেস্টঃ বেকিং সোডা বা হাই জ্রেজেন পারক্রাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার করলে দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া মুখের ভিতর বেশি পরিষ্কার হয়। যাদের দাঁতের মাড়িতে দাঁত রয়েছে তারা এ ধরনের টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

স্যাকারিন ও সরবিটল যুক্ত টুথপেস্টঃ টুথপেস্ট কেনার সময় অবশ্যই স্যাকারিন ও সরবিটল উৎপাদন যেন সঠিক উপাদান গুলোর পরিমাণ বেশি হলে দাঁত দ্রুত ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।

মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

মুখে দুর্গন্ধ এই সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন যার ফলে কথা বলার সময় লোক সমাজে বিব্রতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। এখন মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কিছু কারণঃ

  • নিয়মিত নিয়ম মেনে মুখ ও দাঁতের যত্ন না নেওয়ার ফলে  মুখের গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে।
  • দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে থাকাঃ খাবার খাওয়ার পরে অনেকেই মুখ ভালো করে ধোয় না যার ফলে দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকতে পারে। আটকে থাকা খাবারে ব্যাকটেরিয়া সহজেই আক্রমণ করতে পারে আর এজন্যই মুখে গন্ধ হয়।
  • দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকাঃ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলেও মুখ মুখে গন্ধ হতে পারে।
  • মুখে লালা পরিমাণ কমে যাওয়াঃ মুখে লালার পরিমাণ কমে থাকলে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বিস্তার করে। এজন্য মুখের লালার পরিমাণ কমে গেলে মূখ শুষ্ক হলে মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে।
  • তুলনামূলক কম পানি পান করাঃ পানি কম পান করলেও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি কারী ব্যাকটেরিয়া বিস্তার লাভ করতে পারে না।
  • মুখ দিয়ে শ্বাস নিলেঃ মুখ দিয়ে শ্বাস নিলে মুখ শুষ্ক হয়ে যায় যার ফলে মুখের লালা পরিমাণ কমে যায় আর তাই মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।
  • খাবারঃ কাঁচা পেঁয়াজ রসুন খেলে মুখে গন্ধ হতে পারে তাছাড়া যারা অ্যালকোহল ও ধূমপান করেন তাদের মুখেও দুর্গন্ধ হতে পারে এছাড়াও পান সুপারি গুল তামাক জাত দ্রব্য ও মুখের দুর্গন্ধের কারণ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা এর কারণেও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে।

মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রতিকরঃ
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে প্রতিদিন সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
  • ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে মেন্থল গাম খাওয়া যেতে পারে।
  • মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • অ্যালকোহল ও তামাক জাত দ্রব্য পরিহার করতে হবে।
  • কাঁচা পেঁয়াজ রসুন খেলে সুন্দর করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
  • অ্যান্টি মাইক্রো বিয়াল mout wash দিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে।
  • মুখ ও দাঁতের সঠিক নিয়মে যত্ন নেওয়া।
  • মাছ খেলে অনেক সময় দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে।
সুতরাং  খাবারের পর ৩০-৬০ মিনিট আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, ব্রাশ করার জন্য যেন প্রাকৃতিক উপায়ে থুথুর মাধ্যমে খাদ্য পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে ও মুখের নরমাল PH বহাল থাকে। খাবারের পরপরই মুখের PH এসিডিক থাকে, খাবার পর থুথু প্রথম মুখের PH নরমাল করে।

তাই খাবারের পরপরই দাঁত ব্রাশ করার ফলে এনামেলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অপরদিকে এসিডিক PH -এ ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন হার বেশি।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঔষধের নাম

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো দেখেছেন মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে যেগুলো আমরা উপরে তথ্য থেকে জানতে পেরেছি যেমন ডায়াবেটিক্স সাইনাস ফুসফুসের সমস্যা ও মাড়িতে ইনফেকশন টনসিল ইত্যাদি।
শারীরিক সমস্যার কারণেও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে তাই মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঔষধ এক্ষেত্রে অরামবেট,এসিড নাইট , মারকুরিয়াস সল,সিফিলিনাম এই ওষুধগুলি ব্যবহার করে থাকবেন।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য হোমিও বেস কয়েকটি ওষুধ রয়েছে। এবার আমরা মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধ গুলোর নাম একে একে জেনে নেব।
  • অরাম মেট
  • এসিড নাইট
  • মার্কুরিয়াস সল
  • সিফিলিনাম
  • কার্বোভেজ
সুতরাং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।

শেষ কথা

উপরে আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ওষুধের নাম সম্পর্কে। আপনি যদি মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যায় থাকেন মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়গুলো নিয়মিত কিছুদিন ফলো করার পরও যদি আপনার মনে হয় এগুলোতে কোন কাজ হচ্ছে না


তাহলে আর দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং সেই অনুযায়ী আপনার সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করুন। তারপরেও যদি এই আর্টিকেল নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনার মূল্যবান প্রশ্নটির খুবই দ্রুততম সময়ের মধ্যে উত্তর প্রদান করার চেষ্টা করা হবে। ধন্যবাদ।।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url