দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি জানুন ২০২৪ - দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি ও দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত তা জানুন

দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত ২০২৪আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন কত টাকা। তো আপনারা যারা দুবাই যেতে চাচ্ছেন তারা একবার হলেও এই পোস্টটি পড়বেন, কারণ একটি দেশে যাওয়ার আগে সেই দেশের কাজ সম্পর্কে, নিয়ম-কানুন সম্পর্কে এবং বেতন সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। তো যাই হোক নিচ থেকে দেখে নিন যে দুবাইয়ে বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের উপর বেতন কত টাকা।
দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
তাই ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। আশা করি আপনি যদি দুবাই কোন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখনই জেনে নিন দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি ও দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত এবং দুবাই কোন কাজের বেতন কতএবং আরো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্পর্কে --

দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি

দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
পৃথিবীর যে সকল দেশে বাংলাদেশী প্রবাসী রয়েছে তার মধ্যে দুবাই অন্যতম। বাংলাদেশী প্রবাসীদের মধ্যে দুবাই যাওয়ার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কেননা দুবাইয়ে কাজের বেতন বেশি এবং সুযোগ-সুবিধাও বেশি। দুবাইতে বেশিরভাগ ছোটখাটো কাজের ক্ষেত্রে বিদেশি শ্রমিকদের প্রাধান্য দেয়া হয়। মূলত যেসব কাজে বেতন বেশি সেসব কাজই সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন। সেসব কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও বেশি হয়ে থাকে। দুবাইতে সবথেকে বেশি যেসব ক্ষেত্রে কাজ পাওয়া যায় সেগুলো হল --
  • প্লাম্বিং
  • ক্লিনারিং
  • ওয়েল্ডিং
  • পাইপ মিস্ত্রি
  • হোটেল বয়
  • গ্লাস ক্লিনার,
  • কনস্ট্রাকশন
  • ড্রাইভিং ভিসা
  • টাইলস মিস্ত্রি,
  • মেকানিক্যাল।
  • গার্মেন্টস কর্মী
  • ফ্যাক্টরির কাজ,
  • ইলেকট্রনিক কাজ
  • মেডিকেল ক্লিনার,
  • রড ক্লিনার এর কাজ।
  • সিকিউরিটি গার্ড এর কাজ।
  • দুবাই বিশেষ নার্স কর্মী ভিসা ইত্যাদি
  • কৃষিকাজ ও গবাদি পশু পালন এর কাজ ইত্যাদি।
অর্থাৎ বিশেষ দক্ষতার কাজগুলোর ক্ষেত্রে দুবাইতে বেশ চাহিদা রয়েছে। সাধারণত আপনি যদি ড্রাইভিং, কনস্ট্রাকশন বা ইলেক্ত্রিকাল বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তবে দুবাইতে আপনার চাহিদা হবে সবথেকে বেশি। এসব কাজে অভিজ্ঞ লোকের দরকার হয় প্রচুর পরিমাণে। এছাড়া লেবার বা শ্রমিক হিসেবেও দুবাইতে প্রচুর কাজ রয়েছে।

তবে এগুলো শারীরিক পরিশ্রমের কাজ হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সুস্থ, সবল হওয়া বেশ প্রয়োজন। বেতন ও চাহিদা অনুসারে দুবাইতে কনস্ট্রাকশন ও ইলেকট্রনিক কাজ গুলো অত্যন্ত ভালো। এসব কাজ কিছুটা কঠিন এবং বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু দুবাইতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দালান ও স্থাপনা নির্মিত হয় বলে এই কাজে সবসময়ই জনবল দরকার হয়ে থাকে।

অর্থাৎ দুবাইতে আপনি শ্রমিক কিংবা উপরে উল্লেখিত বিশেষায়িত কাজের জন্য যেতে পারেন। শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চাইলে সুস্থ-সবল হওয়া জরুরি। আর অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। আপনি সঠিক দক্ষতা অর্জন করতে পারলে এবং অভিজ্ঞতা থাকলে দুবাইতে কাজ পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। কাজেই দুবাইতে কাজের সন্ধানে যেতে চাইলে আগে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিতে হবে।

দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত

আপনারা জানতে চেয়েছেন দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত । তবে যারা নতুন অবস্থায় দুবাই যায়। কিন্তু তাদের প্রথম অবস্থায় কাজের কোন অভিজ্ঞতা থাকে না। তাদেরকে দুবাই অনেক কম বেতন দিয়ে থাকেন। অনেকে যারা নতুন দুবাই যেতে চাচ্ছেন কিন্তু সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন উত্তোলন করতে পারবেন এ তথ্য অনলাইনের মধ্যে খুঁজে থাকেন। আসলে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হবে। 

বাংলাদেশের অনেকে দুবাই কোম্পানির ভিসায় কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চায়। কেননা দুবাই অন্যান্য দেশের চেয়ে কোম্পানি ভিসায় গেলে সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। আর দুবাই অন্যান্য দেশের চেয়ে উন্নত হওয়ায় সব রকমের কাজে একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু কথা হল আমাদের মধ্যে অনেকেই এখনো পর্যন্ত জানে না দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত হয়? সেজন্য এখন আমি সবার জানার উদ্দেশ্যে দুবাই সর্বনিম্ন বেতন ও সর্বোচ্চ বেতন কেমন হয়ে থাকে তা জানাবো।

তাহলে চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে আমরা এখনই জেনে নেই দুবাই সর্বনিম্ন বেতন ও সর্বোচ্চ বেতন কত তা সম্পর্কে।
  • দুবাইয়ে একটি শ্রমিক-এর বাংলাদেশী টাকায় সর্বনিম্ন বেতন ৩৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • দুবাইয়ে একটি শ্রমিক-এর বাংলাদেশী টাকায় সর্বোচ্চ বেতন ১,০০,০০০ থেকে ১,১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।
উপরে উল্লেখিত যে সর্বনিম্ন বেতন এবং সর্বোচ্চ বেতন আপনাকে জানালাম সেগুলো কিছুটা কম বেশি হতে পারে। কেননা দুবাইতে একেক কোম্পানির শ্রমিকের একেক রকম বেতন নির্ধারণ করে থাকে। তবে বেশির ভাগ কোম্পানিতেই সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং সর্বোচ্চ বেতন ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আশা করি দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত এবং দুবাই সর্বোচ্চ বেতন কত তা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে নেই দুবাই এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ।

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত এটা জানার আগে আপনাকে প্রথমেই বলে রাখি বেতন সম্পূর্ণটাই নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর। সাধারণত বাইরের রাষ্ট্রগুলিতে কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। প্রায় প্রতিবছর দুবাই কোম্পানি থেকে সরকারিভাবে অনেক শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। আমাদের অনেক বাংলাদেশী ভাই রয়েছেন যারা এই কোম্পানি ভিসা দুবাই যেতে চান।

কিন্তু বেতন না জানার কারণে অনলাইনের মাধ্যমে সঠিক দুবাইয়ের কোম্পানিতে কত টাকা বেতন দেয় এই তথ্যগুলো জানার চেষ্টা করতেছেন। আসলে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা যদি ভালো থাকে তাহলে আপনি প্রতি মাসে বেশি টাকা বেতন উত্তোলন করতে পারবেন। এবং কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বেতন কমবেশি হয়। এবং এক এক কোম্পানি একেক রকম বেতন নির্ধারণ করে থাকে। তবে চলুন জানিয়ে দিয় দুবাই কোম্পানির ভিসার বেতন কত।
  • দুবাই কোম্পানি ভিসা ড্রাইভিং এর বেতন বাংলাদেশি টাকা প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • দুবাই কোম্পানি ভিসায় ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতন বাংলাদেশি টাকা প্রতি মাসে ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • দুবাই কোম্পানি ভিসা প্লাম্বিং এর বেতন বাংলাদেশি টাকা প্রতি ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • দুবাই কোম্পানি ভিসা কনস্ট্রাকশন এর বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৫০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • দুবাই কোম্পানি ভিসা ক্লিনার এর বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • দুবাই কোম্পানি ভিসায় হোটেল বয়ের বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

দুবাই ক্লিনারের বেতন কত

দুবাই হল একটি পর্যটক কেন্দ্রীয় দেশ তাই দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন লোকের যাতায়াত রয়েছে সেই ক্ষেত্রে বর্তমানে দুবাইয়ে ক্লিনার ভিসার ডিমান্ডও প্রচুর রয়েছে। তবে এই ক্লিনার ভিসার মধ্যে যে কাজগুলো রয়েছে সেই কাজের চাহিদা বেশি কিন্তু বেতন অতটা বেশি নয়। দুবাইয়ে একজন ক্লিনার এর মাসিক গড় বেতন ৩৫ হাজার টাকা। 

সাধারণত দুবাইয়ে ক্লিনারের কাজ গুলো হয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অথবা রেস্টুরেন্ট বাসাবাড়ি সহ বিভিন্ন কোম্পানিতে। তাই এর বেতন নির্ধারিত নয় বিভিন্ন কোম্পানিতে অথবা বাসাবাড়িতে সরকারি বাসস্থান বা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেতন আনুমানিকভাবে বেশি দেওয়া হয় তবে বেতন ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে।

বর্তমানে দুবাইয়ে যারা ক্লিনার ভিসা তে কাজ করছে তাদের বেতন বাংলাদেশী টাকায় অনেকেরই ৫০ হাজার টাকা প্লাস তুলতে পেরেছে আবার অনেকেই যারা নতুন হিসেবে গিয়েছে তারা কিন্তু বাংলাদেশী টাকায় ৩৫ হাজার টাকা থেকেই শুরু করছে। 

তাই আপনি যদি ভাল কোন কোম্পানির অধীনে ক্লিনার ভিসা নিতে পারেন তাহলে ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং সেই কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধাসহ যাতায়াত খরচ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ বহন করে থাকে।

দুবাই ভিসা দাম কত

সাধারণত ৪ টি ভিসার যেকোনো ভিসায় দুবাই যেতে হয়। তাছাড়া কাজের জন্য দুবাই আসতে অনেক গুলো ভিসা আছে। শ্রমিক ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, লেভার ভিসা, কোম্পানি ভিসা, হোটেল ভিসা, রেস্টুরেন্ট ভিসা ইত্যাদি। সব ভিসার দাম ও খরচ এক এক রকমের। দুবাই সর্বনিম্ন ভিসার দাম ৫ লাখ টাকা। আর সর্বচ্চ ভিসার মূল্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। তবে সরকারি ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসায় দাম ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লাগে। 

সরকারি ভিসা সীমিত তাই সব সময় পাওয়া যায় না। আর দুবাইয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় তেমন লোক আসে না। দুবাই মূলত কাজের জন্য প্রবাসীরা আসে। সব খরচ মিলিয়ে একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ হয় দুবাই আসতে।দুবাই ভিসার জন্য একেক ভিসা একেক রকম খরচ হইতে পারে তবে উপরের তথ্য অনুসারে যে দামগুলো দেখানো হয়েছে এগুলো কিছুটা পরিবর্তনশীল হতে পারে ।

দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে

দুবাই যেতে কত বছর লাগে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে এই সম্পর্কে আপনারা যারা দুবাই যেতে আগ্রহী তাদের জন্য আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন শ্রমিক যদি দুবাইয়ে কাজে যেতে চাই তাহলে অবশ্যই তার পূর্ণ বয়স হতে হবে। তার পাসপোর্ট এর ডেট অফ বার্থ অনুযায়ী অবশ্যই তার ২২ বছর পূর্ণ হতে হবে।

এছাড়াও কোম্পানি ভেদে বিভিন্ন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট দেওয়া থাকে বয়স সীমার একটি নির্দিষ্ট লিমিট দেওয়া থাকে এর ভেতর ওই সমস্ত কোম্পানিগুলোতে কাজের ভিসা দিয়ে থাকে। তাই ২২ বছর পর থেকেই ৬৫ বছর পর্যন্ত দুবাইয়ে যে কোন ধরনের ভিসার মাধ্যমে আপনি দুবাইয়ে পাড়ি দিতে পারেন ।

দুবাই ভিসা আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনারা অনেকেই আছেন দুবাইয়ের ভিসা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে জানেন না। আপনারা কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস লাগবে। কি কি ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো দেখে নিন। যেমন--
  • আপনার একটি সচল পাসপোর্ট সেই পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন ৬ মাস পর্যন্ত মেয়াদ থাকতে হবে।
  • সঠিকভাবে পূরণকৃত ভিসার অ্যাপ্লিকেশন ফরম।
  • আপনি যে পেশায় আছেন সেই পেশার সার্টিফিকেট।
  • আপনার নিজস্ব ২ কপি পাসপোট সাইজের রঙিন ছবি।
  • আপনার কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র।
  • করনার ভ্যাকসিনের সনদপত্র।
  • চারিত্রিক সনদপত্র।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।
  • ন্যাশনাল আই ডি কার্ড।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

বিভিন্ন কাজে দুবাইতে কেমন বেতন পাবেন - দুবাই কোন কাজের বেতন কত

দুবাইতে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। তবে এটি শুরুর বেতন, ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়লে এই বেতন বাড়তে থাকে। কাজেই শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চাইলে এই পরিমাণের আশেপাশের বেতনে আপনাকে কাজ শুরু করতে হবে। একজন শ্রমিক বর্তমানে দুবাইতে গড়ে ৬৫ হাজার টাকা বেতন পান।

তবে আপনি কত বেতন পাবেন সেটি নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও কাজের উপরে দুবাইতে বর্তমানে কোন কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি। দুবাই কোন কাজের বেতন কত টাকা এ বিষয়ে জানার আগে আমরা আগে জেনে নেব যে দুবাইয়ের টাকার নাম কি এবং দুবাইয়ের এক টাকায় বাংলাদেশের কত টাকা হয়। দুবাইয়ের টাকার নাম হচ্ছে রিয়াল। দুবাইয়ের ১ রিয়াল = বর্তমানে বাংলাদেশের ২৯.২৯ টাকা।

এখন নিচ থেকে জেনে নিন যে দুবাইতে কোন কাজের কেমন বেতন পাবেন ইলেকট্রিশিয়ান, কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রনিক্স ও ড্রাইভিং এই কাজগুলোর উপর যদি আপনাদের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে প্রতি মাসে বেতন পাবেন কমপক্ষে দুবাইয়ের রিয়ালের ৩,৫০০ রিয়াল থেকে ৪,৮০০ রিয়াল পর্যন্ত যা বাংলাদেশের ১,০৮,০০০ টাকা থেকে ১,৪৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে উপরের এই কাজগুলোর বর্তমানে কি রকম চাহিদা রয়েছে।

রেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরাঁ, টাইলস মিস্ত্রি, পাইপ মিস্ত্রি ও হোল্ডিং মিস্ত্রি এই কাজগুলোর উপর যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ওই দেশের যে কোম্পানিগুলো রয়েছে সে কোম্পানি আপনাকে প্রচুর মূল্যায়ন করবে। এবং দুবাইয়ের প্রতি মাসে আপনার বেতন পড়বে ২,২০০ রিয়াল থেকে ৩,০০০ রিয়াল পর্যন্ত যা বাংলাদেশের টাকায় ৬৫,০০০ টাকা থেকে ৯০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

আর যে বাকি কাজগুলো রয়েছে সেগুলোর উপর অভিজ্ঞতা না থাকলেও সমস্যা নেই, কারণ ওই কাজগুলোর উপর এত অভিজ্ঞতা অর্জন করার প্রয়োজন নেই। ওই কাজগুলোর দুবাইয়ের সর্বনিম্ন বেতন ১,২০০ রিয়াল থেকে সর্বোচ্চ ১৯০০ রিয়াল পর্যন্ত যা বাংলাদেশের টাকায় ৩৫,০০০ টাকা থেকে ৫৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।

দুবাই ভিজিট ভিসা বের হতে কতদিন লাগে

ট্রাভেল এজেন্সি বা এয়ারলাইন্স গুলোর মাধ্যমে আবেদন করে ভিসা পেতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সমায় লাগে। ভিসা ফি পরিশোধ করার ১৫ দিনের মধ্যেই ভিসা প্রসেসিং হয়ে যায়। তবে ভিসা সম্পূর্ণভাবে হাতে পেতে ১৫ থেকে ৩০ দিন বা কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে। সরকারিভাবে ভিসা প্রসেসিং করতে সময় বেশি লাগে।

সরকারিভাবে ভিসা প্রসেসিং করতে টিকেট খরচ সহ ১ লক্ষ টাকার কম প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে, ট্রাভেল এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে ১.৫ – ২ লাক্ষ টাকা খরচ হয় সম্পূর্ন প্রক্রিয়াতে। ঝামেলামুক্ত ভ্রমনের জন্য ট্রাভেল এজেন্সিই উত্তম।

দুবাই ভিসা চেক করার নিয়ম

দুবাই ভিসা চেক করার জন্য প্রথমেই https://smartservices.icp.gov.ae/echannels/web/client/default.html ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, মেনু থেকে Public Service অপশনে ক্লিক করতে হবে অতঃপর, ডান দিকে File Validity বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর, পাসপোর্ট এবং ভিসা নির্বাচন করে দিয়ে পাসপোর্ট এর তথ্য পূরণ করে দুবাই ভিসা চেক করা যাবে সহজেই।

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে কীভাবে আপনার ভিসা তথ্য যাচাই করবেন জানার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। নিচে আপনাদের জন্য ছবিসহ দুবাই এর ভিসা যাচাই করার পদ্ধতি উল্লেখ করে দিয়েছি। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক করার পদ্ধতি --

দুবাই ভিসা যাচাই করার জন্য ICP Smart Services লিখে গুগলে সার্চ করে প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন কিংবা https://smartservices.icp.gov.ae/echannels/web/client/default.html এই লিংকে ভিজিট করুন। অতঃপর, নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন --

ধাপ ১ -- উপরোক্ত লিংকে ভিজিট করার পর নিচের মতো একটি ইমেজ দেখতে পাবেন। সেখানে মেনু থেকে Public Service অপশনে ক্লিক করবেন।
ধাপ ২ -- এরপর, ডান দিকে File Validity একটি বাটন পাবেন। সেখানে ক্লিক করবেন।
ধাপ ৩ -- অতঃপর, Passport Information এবং Visa অপশন নির্বাচন করে নিবেন।
ধাপ ৪ -- এরপর, নিচের দিকে স্ক্রোল করে পাসপোর্ট নাম্বার এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ লিখবেন। আপনার দেশের নাম নির্বাচন করে দিবেন। অতঃপর, ক্যাপচা কোড পূরণ করবেন এবং Search বাটনে ক্লিক করবেন।

উপরোক্ত, ধাপগুলো অনুসরণ করলে এতক্ষণে আপনার ভিসা তথ্য পেয়ে যাওয়া কথা। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই দুবাই ভিসা তথ্য চেক করতে পারবেন এবং আপনার ভিসা তৈরি হয়েছে কী না জানতে পারবেন। দুবাই এর ভিসা যাচাই করার এটাই সবথেকে সহজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা যাচাই করতে পারবেন। এছাড়াও, অন্যান্য দেশের ভিসা চেক করার পদ্ধতি বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকেই।

সর্বশেষ কথাঃ দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি 

প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন দুবাই কাজের বেতন কত, দুবাইতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও দুবাই যাওয়ার আগে কি করবেন এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। এই পোস্টটি যদি আপনারা পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। এই পোষ্টের মাধ্যমে যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন, যাতে অন্য একটি ভাই অথবা একটি বোন পোস্টটি পড়েও উপকৃত হয়। তারপরেও এই পোস্টটি নিয়ে যদি কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে বা পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে এই ওয়েবসাইটে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url