বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট ২০২৪ সম্পর্কে জানুন - বর্তমানে সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪

সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৪প্রিয় পাঠক, আপনারা হয়তো জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টের লিস্ট সম্পর্কে। কারণ যারা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাবেন তারাই এজেন্টের লিস্ট খুজে থাকে। কিন্তু সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে জানা প্রয়োজন। যে সিঙ্গাপুর আপনি কিসের জন্য যাচ্ছেন আপনি যদি কোন কাজের জন্য যান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে দেখতে হবে যে সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদাটা বেশি ।
বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট
তবে চলুন আজকে আমরা এই আর্টিকেলে জানাবো যে সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টের লিস্ট সম্পর্কে। আপনি যদি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। তাহলে অবশ্যই সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট এমনকি আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট পাবেন। যারা বিদেশে যাওয়ার জন্য আগ্রহী তাদের অনেক উপকারে আসবে তবে চলুন দেখে আসি।

বর্তমানে সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪

সিঙ্গাপুর খুব একটি বৈচিত্র্যময় দেশ যেখানে বিভিন্ন জাতি এবং সাংস্কৃতিক মানুষের বসবাস। সিঙ্গাপুরে মোটামুটি সারা বিশ্বের সকল দেশের মানুষ বসবাস করে থাকে। সিঙ্গাপুর একটি উন্নত কান্ট্রি হওয়ার কারণে এই দেশে প্রচুর পরিমাণ কাজ পাওয়া যায়। তাই বাংলাদেশ থেকে যারা কাজের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর যাবেন তাদের অবশ্যই জানতে হবে সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি। 

বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অনেক ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। যারা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। কারণ সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য আপনার যেকোনো একটি কাজের উপর দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

কেননা সিঙ্গাপুরে কাজের ধরন এবং কাজের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে বেতন দিয়ে থাকে। তাই এখন আপনাদের মাঝে সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো কাজের নাম নিচে তুলে ধরা হল চলুন দেখে আসি।
  • নার্স
  • ড্রাইভিং
  • ওয়েল্ডিং
  • গার্ডেনিং
  • হোটেল বয়
  • রোড ক্লিনার
  • গ্লাস ফিটিংস
  • ফ্যাক্টরি 
  • সেনেটারী।
  • কেয়ারিং ম্যান
  • কনস্ট্রাকশন
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • এগ্রিকালচার
  • ফুড প্যাকেজিং
  • ফুড কালেক্ট
  • সিকিউরিটি গার্ড
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
  • রেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরাঁ
  • নির্মাণ শ্রমিক (Construction Workers)
  • ফ্যাক্টরি শ্রমিক (Factory Workers))
  • ইঞ্জিনিয়ার (Engineer)
  • সেনেটারি কাজ
  • ফিন্যান্স ম্যানেজার
  • মার্কেটিং ম্যানেজার
  • আইটি ম্যানেজার
  • সেলস ম্যানেজার
  • ওয়েব ডিজাইন
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • একাউন্ট ম্যানেজার
  • সফটওয়্যার, এআই ও ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ইত্যাদি।
সিঙ্গাপুরে এমন অনেক কাজের চাহিদা বেশি, তবে ২০২৪ সালে কিছু সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজের মধ্যে রয়েছে তা হল --

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) -- সিঙ্গাপুর একটি প্রধান প্রযুক্তি কেন্দ্র এবং সফ্টওয়্যার ডেভেলপার, ডেটা বিশ্লেষক এবং তথ্য সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতো আইসিটি পেশাদারদের জন্য উচ্চ চাহিদা রয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা -- সিঙ্গাপুর তার বৃদ্ধিশীল জনসংখ্যার জন্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের একটি ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুভব করছে সিঙ্গাপুরের বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা এবং চলমান COVID-19 মহামারীর কারণে। ডাক্তার, নার্স এবং মেডিকেল সহকারীর মতো স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের জন্য চাহিদা বেশি। সিঙ্গাপুর]

প্রকৌশল -- সিঙ্গাপুর প্রকৌশলীদের জন্য একটি প্রধান কেন্দ্র, বিশেষ করে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল এবং সিভিল প্রকৌশল ক্ষেত্রে। প্রকৌশলীরা]

ব্যবসা এবং অর্থায়ন -- সিঙ্গাপুর একটি প্রধান আর্থিক কেন্দ্র এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ফাইন্যান্সিয়াল বিশ্লেষক এবং ব্যবসায়ী উন্নয়ন ম্যানেজারদের মতো ব্যবসা এবং অর্থায়ন পেশাদারদের জন্য উচ্চ চাহিদা রয়েছে।

পরিসেবা -- সিঙ্গাপুর পর্যটন, খুচরা এবং আতিথেয়তা শিল্পে ক্রমবর্ধমান চাহিদা দেখছে। হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় কাজ করার জন্য কর্মী, সেইসাথে গ্রাহক পরিষেবা এবং বিক্রয় পেশাদারদের জন্য চাহিদা রয়েছে।

বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস -- সিঙ্গাপুর বায়োমেডিকাল গবেষণা এবং উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে যার ফলে বায়োটেকনোলজি ফার্মাসিউটিক্যালস মেডিকেল ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পেশাদারদের চাহিদা বেড়েছে।

লজিস্টিকস এবং সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট -- বিশ্বব্যাপী পরিবহন এবং লজিস্টিক হাব হিসেবে সিঙ্গাপুরের কৌশলগত অবস্থান সরবরাহ চেইন ম্যানেজমেন্ট লজিস্টিক অপারেশন এবং পরিবহনে দক্ষ পেশাদারদের চাহিদা তৈরি করেছে।

সিঙ্গাপুরে কাজ করার জন্য, আপনার একটি কাজের পারমিট ভিসা প্রয়োজন হবে। আপনি যদি উপরে তালিকাভুক্ত একটি কাজের চাহিদাভিত্তিক পেশায় থাকেন তবে আপনার একটি কাজের পারমিট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে

২০২৪ সালের সিঙ্গাপুরে যেতে কত টাকা লাগে সেটা নির্ভর করে মূলত আপনি কি ধরনের ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন তার ওপর। আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা লাগবে।সিঙ্গাপুর ভিসা করতে খরচ পড়বে পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা। সরকারি ভাবে যদি আপনারা সিঙ্গাপুরের ভিসা করেন তাহলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যেই সরকারিভাবে যাওয়া যায়। 

স্টুডেন্ট ভিসাতে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য খরচ পড়ে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা বা অন্যান্য ভিসা নেওয়ার জন্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। তবে যদি এর থেকে ভালো মানের কাজ নিয়ে আপনারা সিঙ্গাপুরে যেতে চান তাহলে কিন্তু আরো বেশি পরিমাণ টাকা খরচ হতে পারে।

সিঙ্গাপুর কোন কোন ভিসা চালু আছে

বর্তমানে বাংলাদেশে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন অনেক বেকার যুবক চাকরির জন্য পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাই অধিকাংশ মানুষ সিঙ্গাপুর কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে সে বিষয়ে ধারণা নেই। যারা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই সিঙ্গাপুর ভিসার খরচ জানা খুবই প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে

সে বিষয়ে জানার আগে প্রথমে জেনে নিতে হবে সিঙ্গাপুর কোন কোন ভিসা চালু আছে। কারণ সিঙ্গাপুর একেক ভিসার দাম একেক রকম ভাবে নির্ধারণ করা থাকে। এজন্য অনেকে সিঙ্গাপুর কোন কোন ভিসা চালু আছে সে বিষয়ে জানার জন্য অনলাইনে ঘাটাঘাটি বা অনুসন্ধান করে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে সিঙ্গাপুর কোন কোন ভিসা চালু আছে সেগুলো ভিসার নাম নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে দেখানো হলো।
  • ট্যুরিস্ট ভিসা
  • প্লাম্বিং ভিসা 
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • বিজনেস ভিসা
  • ড্রাইভিং ভিসা
  • কনস্ট্রাকশন ভিসা
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি।

সিঙ্গাপুর কোন ভিসার খরচ কত

সিঙ্গাপুর ভিসার খরচ  ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। আপনি যদি নতুন সিঙ্গাপুর কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা বা সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে? আসলে আপনার এই প্রশ্ন সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিবেন সেটার উপর। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর শ্রমিক ভিসায় যেতে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে।

তবে, আপনি যে কাজের উদ্দেশ্য ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যাবেন অবশ্যই সেই কাজে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ না থাকলে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে কাজ করতে। তাছাড়া, আধা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কনষ্ট্রাকশন, হোটেল ক্লিনার, কৃষি, মেশিনারিজ, সেবা কাজ এবং গৃহকর্মী হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন।

তবে ভালো মানের কাজ নিয়ে যেতে হলে কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি দক্ষতা এবং অন্যান্য একটিভিটিস থাকতে হয়। তাই আপনি যদি ভাল মানের কাজ নিয়ে বাংলাদেশ থেকেই সিঙ্গাপুরে যেতে চান এবং পাঁচ বছর মেয়াদী ভিসা নিতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু ৮ লাখ টাকাও খরচ হতে পারে। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক কোন ভিসার খরচ কেমন হতে পারে নিচে তার দেখানো হলো --
  • কাজের ভিসা ৫ লক্ষ টাকা।
  • টুরিস্ট ভিসা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
  • ড্রাইভিং ভিসা ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
  • স্টুডেন্ট ভিসা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
  • বিজনেস ভিসা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
তাই আপনি যখন আপনার এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন তখন তাদের মাধ্যমে বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে নিবেন। অনেক সময় যাতায়াত খরচ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ কিন্তু সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে খরচ বহন করা লাগে। তবে আপনি আপনার এজেন্সির মাধ্যমে এই বিষয়টি নিশ্চিত করে নিবেন যে আসলে সিঙ্গাপুরের যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ পড়ে এবং কি কি খরচ পড়তে পারে।

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া কত 

বর্তমান বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের সকল ফ্লাইটে টিকিটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সময়ের সারা বিশ্বে ডলারের দাম বাড়ার কারণে সব রকম বিমান ভাড়া বেড়ে গিয়েছে। এখন আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে চাচ্ছেন তাদের মধ্যে অনেকেরই হয়তো অজানা বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা বিমান ভাড়া লাগে। এখান সেই সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া কত।

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স -- বাংলাদেশ টু সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স -- বাংলাদেশ টু সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
  • ইন্ডিগো এয়ার -- বাংলাদেশ টু সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স -- বাংলাদেশ টু সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • এয়ার ইন্ডিয়া -- বাংলাদেশ টু সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া ৬০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স -- বাংলাদেশ টু সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া ৮৫ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • তুর্কিস এয়ারলাইন্স -- বাংলাদেশ টু সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • কাতার এয়ারওয়েজ -- বাংলাদেশ টু সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

সরকারিভাবে সিঙ্গাপুর যাওয়ার উপায় ২০২৪

সরকারিভাবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য বি এম ইটির নিয়োগ অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে জানুয়ারি মাস থেকে সরকারিভাবে সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। ছাড়া যদি আপনারা সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যেতে চান তাহলে বছরের বিভিন্ন সময় এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তারা প্রকাশ করে থাকে। এখান থেকে আপনারা তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি সরকারিভাবেও সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন।

তাছাড়া বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতে টিটিসি কেন্দ্র রয়েছে সেখান থেকে আপনারা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হবে এবং কিভাবে কোথায় প্রশিক্ষণ নিবেন এই নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে জানানো হলো। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই সরকারি নিবন্ধন অনুযায়ী যেতে হবে এক্ষেত্রে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট এবং শারীরিক দক্ষতার উপর ভিত্তি করেই মূলত সরকারিভাবে নিয়োগ দিয়ে থাকে।

সরকারি ভাবে যেতে পারলে সব থেকে ভালো সুবিধা পাবেন এক্ষেত্রে খরচ অনেক কম লাগবে এবং একেবারে বিশ্বস্ততার সাথে যেতে পারবেন এবং ভালো মানের কাজ সে সাথে সুযোগ সুবিধা বিষয়গুলোর জন্য ভালো সাপোর্ট পাবেন তাই অবশ্যই সরকারিভাবে প্রথম অবস্থায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় বুয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করে রাখুন।

সিঙ্গাপুর ভিসা আবদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনি বাংলাদেশ থেকে যেকোন দেশে যান না কেন অবশ্যই সেই দেশের কিছু নিয়ম কারণ রয়েছে যেগুলো আপনাকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে তাই অনেকেই জানতে চাই সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে আশা করি আজকে আপনারা খুব সহজেই জানতে পারবেন সিঙ্গাপুর যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে এবং কিভাবে সিঙ্গাপুর যাওয়া যায় তাহলে নিম্নলিখিত লিস্ট থেকে দেখে নিন সিঙ্গাপুর যেতে কি কি কাগজ লাগে।
  • ড্রাইভিং ভিসা হলে লাইসেন্স
  • স্টুডেন্ট হলে (All educational information)
  • কর্মী হলে নির্দিষ্ট কাজের উপর প্রশিক্ষণ
  • প্রশিক্ষণ এর সনদের কপি
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • তিন মাসের মধ্যকার মেডিকেল রিপোর্ট
  • বৈধ পাসপোর্ট যার সর্বনিম্ন মেয়াদ থাকবে ছয় মাস
  • সিঙ্গাপুর আছে এমন কারো আমন্ত্রণপত্র লাগবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৪ কপি ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই রঙিন।
  • পাসপোর্ট এর ফটোকপি দুই কপি অবশ্যই রঙিন হতে হবে।
  • আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্যাদি যেমন এন আই ডি কার্ড।
  • অবশ্যই আপনার চেয়ারম্যানের বাবা মেয়রের সার্টিফিকেট।
এছাড়া প্রয়োজনে আরো কিছু কাগজপত্র লাগবে যেগুলো আপনার এজেন্সি করতে এ বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে কাগজপত্র মধ্যে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকলে সেগুলো অবশ্যই সংশোধন করে তারপরেই এজেন্সি অথবা দূতাবাসে জমা দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোন ধরনের নামের বানান অথবা সাক্ষরে ভুল ত্রুটি থাকা যাবে না।

সেইসাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সত্যায়িত করে নিতে হবে। সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে উপরের এই তথ্যগুলো জমা দিতে হবে এবং সকল ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজে সিঙ্গাপুরের ভিসার আবেদন এবং ভিসা পেয়ে যাবেন।

সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসা বেতন ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন কোম্পানিতে অথবা ডেলিভারি বয় হিসাবে ডাইভিং কাজ করতে পারেন তাহলে কিন্তু বেতন আরও বেশি পরিমাণ পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ড্রাইভিং ভিসাই কাজের নিয়োজিত অনেক কর্মী আছে যারা কিনা মাসে দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা এবং ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ পায়।

তবে এটা নির্ভর করবে মূলত আপনার কাজের উপর আপনি যদি বেশি পরিমাণ সময় দিয়ে কাজ করেন এবং ওভারটাইম কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারেন তাহলে কিন্তু এর থেকেও ভালো পরিমাণ বেতন তোলা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং ড্রাইভিং এর উপর লাইসেন্স তৈরি করে তারপরে আপনাদেরকে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ভিসা করতে হবে।

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট
বাংলাদেশ থেকে কোন সিঙ্গাপুরের ভিসা করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে এজেন্টদের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে হবে। আপনারা অনেকেই জানেন না যে বাংলাদেশে কোথায় সিঙ্গাপুর যাওয়ার এজেন্ট পাওয়া যায়। এখন আপনাদেরকে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট জানাবো। এই নাম গুলো দেখে যে কোন এজেন্ট এর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
ক্রমিক নং এজেন্টদের নাম ঠিকানা যোগাযোগ নাম্বার --
  • নোভো ইয়ার লিমিটেড
  • ভ্যালেন্সিয়া এয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড
  • হসপিটাল সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড
  • রিজেন্সি ট্রাভেলস লিমিটেড বনানী -- ৯৮২১৯৮২
  • মাস ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিঃ গুলসান -- ৯৮৮১৬৭২
  • মেডি কন্সাল্ট লিঃ গুলসান -- ০২৯৮৯২৮২৮, ০২৯৮৪০০৩৩
  • নভএয়ার লিমিটেড বনানী -- ৫৫০১২৩৮৫, ০১৯৭৮৪৪৩৭১৭
  • তালুন কর্পোরেশন লিঃ গুলসান -- ৯৮৪৪০২৮, ৯৮৯৬৯০৯
  • ইনোভা সার্ভিস লিমিটেড গুলসান -- ৯৮৯৩৭০৪, ৯৮৪৮৬১৮
  • ভিক্টরি ট্রাভেলস লিমিটেড মতিঝিল -- ৯৫৫০৯১৬, ৯৫৫৬১২৯
  • ডিসকভার টুলস এন্ড লজিস্টিক বনানী -- ৯৮২১৮২০, ৯৮৬৩৩৪০-৪৩
  • ইউনিয়ন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস লিঃ গুলসান -- ৯৮৫৪৬৬-৭৭
  • সাইমন ওভারসিজ, গুলশান। টেলিফোন নম্বর -- 9881408, 9882273, 9885307.
  • ট্যালন কর্পোরেশন লিমিটেড গুলশান, ঢাকা। টেলিফোন নম্বর -- 9894028, 9896909.
  • লেক্সাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল, বাংলামোটর। টেলিফোন নম্বর -- 8613126, 8613184, 9632750-52.
  •  ডিসকাভারি ট্যুরস অ্যান্ড লজিষ্টিক, বনানী। টেলিফোন নম্বর -- 9863341, 9821820, 9863343, 9863340, 98426
  • সিল্কওয়েজ কার্গো সার্ভিস লিমিটেড গুলশান, ঢাকা। টেলিফোন নম্বর -- 9888211-20 ext 130, 131.
  • পার্কওয়ে হসপিটালস সিঙ্গাপুর পাইভেট লিমিটেড গুলশান। মোবাইল নম্বর -- 01736000000, টেলিফোন নম্বর -- 9850422 (24 ঘন্টা সার্পোট পাবেন)।
সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে এই এজেন্সি গুলো সব থেকে ভালো। বাংলাদেশের মধ্যে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সির তালিকার মধ্যে উন্নত মানের এই এজেন্সি গুলো। যারা বর্তমানে সরকারিভাবে অথবা বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তারা চাইলে এই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যেতে পারেন এক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার সাথে সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে অথবা অন্যান্য যে কোন ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার এজেন্সি আপনি যখন ভাল কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন তখন কিন্তু ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন এবং সুযোগ সুবিধা এবং অন্যান্য বিশেষ সাপোর্ট পাবেন। অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা প্রতারণামূলক কার্যকলাপের সাথে জড়িত তাই অবশ্যই এজেন্সি গুলো যাচাই-বাছাই করে তাদের সাথে কথা বলে সেই ভাবে আপনাদেরকে যেতে হবে তা না হলে কিন্তু আপনার মূল্যবান টাকা নষ্ট হতে পারে।

সিঙ্গাপুর যেতে কত বয়স লাগে

আমরা জানি বাংলাদেশ থেকে বাইরের দেশে যেতে হলে কিছু নিয়ম কারণ রয়েছে তেমনি সিঙ্গাপুরের কিছু নিয়ম কারণ রয়েছে। তবে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই কিছু নিয়ম কারণ মানতে হয় যার মধ্যে একটি নিয়ম হচ্ছে সিঙ্গাপুর যেতে কত বয়স লাগে? আপনি যদি সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন ২১ বছর বয়স লাগবে এবং সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স অবধি আপনি সিঙ্গাপুর পারমিট ভিসা করতে পারবেন। আর আপনি যদি সিঙ্গাপুরের ট্রাভেল ভিসা করতে চান সে ক্ষেত্রে কোন লিমিট নেই।

সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং ২০২৪

২০২৪ সালে যারা সিঙ্গাপুরের ভিসা প্রসেসিং এর কাজ সম্পূর্ণ করতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে এখন শুধুমাত্র ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। সিঙ্গাপুরের ভিসা বর্তমানে করার জন্য যে এক মাসের ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করা লাগে সেটা দিয়ে ১৫ দিনের মত সময় লাগে ভিসা পেতে । তাই বর্তমানে যারা সিঙ্গাপুরের ভিসা নিতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় দেওয়া লাগবে। এক্ষেত্রে যদি আপনার পূর্বে কোন কাজের অভিজ্ঞতা থেকে থাকে অথবা আপনি যদি পূর্বে কোথাও কাজ করে থাকেন তাহলে কিন্তু অনেকটাই সহজ হবে সিঙ্গাপুরের ভিসা পেতে।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট ২০২৪

আশা করি, আপনাদেরকে বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্পর্কে জানাতে পেরেছি। আমার মতে, আপনারা যারা সিঙ্গাপুর যেতে চান তারা অবশ্যই বৈধ ভিসায় সিঙ্গাপুর যাবেন। তাহলে কোন প্রকার সমস্যায় পড়বেন না। আর অবশ্যই স্কেল করার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর যাবেন তাহলে অনেক বছর সিঙ্গাপুর থাকতে পারবেন। আজকের মত আলোচনা এই পর্যন্তই। আবার আপনাদের সাথে অন্য কোন পোস্টে অন্য কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাই এতক্ষণ আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।

আর্টিকেল রাইটার
মোঃ শাহীন প্রিয়
শাহীন প্রিয়

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url