ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় - ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা ও অপকারিতা

চীনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতাপ্রিয় পাঠক বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়ে চলেছে। তারই পরিপেক্ষিতে ব্রয়লার মুরগি পালনে খামারীরা অনেক লাভবান হচ্ছেন। যদি আপনিও বয়লার মুরগি পালনে সফল হতে চান তাহলে আপনাকে ব্রয়লার মুরগির ওজন কিভাবে বৃদ্ধির করা যায় এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরো বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হলো।
ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা ও অপকারিতা
ব্রয়লার মুরগি পালনে অধিক লাভবান হওয়া যায় তার একটি কারণ হলো এটি স্বল্প সময়ে(৩৫ থেকে ৪০) দিনের মধ্যেই মুরগি বাজারজাত করা যায়। যদি সঠিক নিয়মে মুরগির পালন করতে পারেন তাহলে আপনিও সফলভাবে ব্রয়লার মুরগি পালনে লাভবান হতে পারবেন। তাই আপনি যদি সঠিক নিয়মে বলার মুরগি পালন করতে চান তাহলে আজকে আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে পাড়েন।

ব্রয়লার মুরগি পালন পদ্ধতি

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ এদেশের প্রায়-চল্লিশ শতাংশ লোক দারিদ্রর সীমার নিচে বসবাস করে। আমাদের দেশে মুরগি পালন করা হয় দুইটি উদ্দেশ্যে; প্রথমটি হল ডিমের জন্য এবং দ্বিতীয় টি হল মাংসের জন্য যতদিন যাচ্ছে মুরগির মাংসের চাহিদা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ মাংস দাম খুবই হাতের নাগালে সারা বিশ্বের অন্যান্য মুরগি থেকে ব্রয়লার বা পোল্টি মুরগি সবচেয়ে বেশি পালন করা হয়।


প্রতিবছর মাংস ও ডিমের চাহিদা পুড়ানোর জন্য ৫০ মিলিয়নের বেশি মুরগি পালন করা হয়। ব্রয়লার বা পোল্ট্রি মুরগির লিটার মাশা এবং খাঁচার পদ্ধতিতে পালন করা যায়। তাই আপনি আপনার বাড়ির আশেপাশে যেমনি জায়গা থাকুক না কেন আপনিও ব্রয়লার  মুরগি পালন করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার জন্য জায়গার প্রয়োজন হবে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ৭ বর্গ ইঞ্চ এবং বড় মুরগির জন্য জায়গা দিতে হবে এক বর্গমিটার।

আর আপনি যদি বাণিজ্যিক ভাবে ব্রয়লার পালন করে থাকেন তাহলে ব্রয়লার কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৩ ঘণ্টায় আলো সরবরাহ করার পদ্ধতি তৈরি করে রাখতে হবে। যেন এই আলোর দিনের আলোর সাথে মেস রেখে বাসস্থান তৈরি করতে হবে ফলে মুরগিগুলো ভালো সুন্দর ভাবে থাকতে পারবে। এছাড়াও ব্রয়লার  মুরগি পালন করার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি বা তথ্য জানতে হবে চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণ

মুরগির মাংস খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। গরু বা খাসির মাংসের চেয়ে ভাল লাগে এই মাংস ত্বক ও শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর উপাদানে ভরপুর। মুরগির মাংস ওজন কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার। পাশাপাশি এতে রয়েছে আরও নানা রকম পুষ্টিগুণ। মুরগির মাংস প্রোটিনের এক চমৎকার উৎস। 

আরো পড়ুনঃ পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ খাদ্য তালিকা

আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করতে সক্ষম ভিটামিন এবং মিনারেলে পরিপূর্ণ মুরগির মাংস। একটি হেলদি লাইফ স্টাইল এর পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় মুরগির মাংস যোগ করা সুস্বাস্থ্যের পথে আপনাকে আরো একটি ধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আসুন দেখে নেই মুরগির মাংসে কি কি স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে ।

  • শর্করা
  • আয়রন
  • সোডিয়াম
  • ভিটামিন সি
  • ভিটামিন বি ৬
  • ভিটামিন এ
  • কার্বোহাইড্রেট
  • ফ্যাটি অ্যাসিড
  • হার্টের জন্য ভালো
  • ফসফরাসের প্রাচুর্য
  • হজমে সাহায্য করে
  • নিয়াসিন' সমৃদ্ধ
  • চোখ ভালো রাখে
  • হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে
  • প্রোটিনে ভরপুর মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।
  • বিষণ্নতা দূর করে মুরগির মাংসে উচ্চ মাত্রায় ট্রাইফটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে।
মুরগির মাংসে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আপনার শরীরের কোলেস্টেরল লেভেল কমাতেও সাহায্য করে। চলুন দেখে আসি ১০০ গ্রাম কাঁচা মুরগির মাংসে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছেঃ-


উপাদান

পরিমান

প্রোটিন

১৪.০৫ গ্রাম

কোলেস্টেরল

৭৯ মিলিগ্রাম

রেটিনোল

৭৫ মাইক্রগ্রাম

ফ্যাট

২৮.৪ গ্রাম 

সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড

৮.৩৪ গ্রাম

ক্যালসিয়াম

১৩ মিলিগ্রাম

কপার

০.০৪৭ মিলিগ্রাম

আয়রন

০.৯৪ মিলিগ্রাম

জিং

১.২৬ মিলিগ্রাম 

অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড

১৮.৩৯ গ্রাম

ম্যাগনেসিয়াম

১৫ মিলিগ্রাম

ভিটামিন এ

২৫১ আইইউ

ফসফরাস

১১৩ মিলিগ্রাম

পটাশিয়াম

১৪৪ মিলিগ্রাম

সোডিয়াম

৬৪ মিলিগ্রাম

ভিটামিন সি

১.৬ মিলিগ্রাম

ভিটামিন বি ১২

০.২৫ মাইক্রগ্রাম

ভিটামিন ই

০.৩৭ মিলিগ্রাম

ভিটামিন কে


২.৪ মাইক্রোগ্রাম



একজন স্বাভাবিক মানুষের প্রতিদিন ক্যালরি দরকার হয় গড়ে ২০০০ ক্যালরি। ১০০ গ্রাম ব্রয়লার মুরগির মাংসে প্রায় ১৬৮ ক্যালরি রয়েছে, যা আপনার দৈনন্দিন ক্যালরি চাহিদার ৮%।

ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা

দৈনন্দিন জীবনে আমরা কম-বেশি সকলেই ব্রয়লার মুরগির মাংস খেয়ে থাকি। তবে আপনারা কি জানেন ব্রয়লার মুরগির মাংসে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান তবে চলুন আজকে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব কি কি উপাদান রয়েছে ব্রয়লার মুরগির মাংস তে 

১। মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যা পেশীকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে। কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন হওয়ায় এটি ওজন কমানোর ভালো উৎস। পেট ভরা রেখেও দীর্ঘদিন ওজন কমিয়ে রাখতে চাইলে মুরগির মাংস নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর খাবার।

২। হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে বয়স্কদের আর্থ্রাইটিস ও হাড় সংক্রান্ত অন্য রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু ভয়ের কিছু নেই। প্রতিদিন মুরগির মাংস খাবার তালিকায় রাখলে এর প্রোটিন হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করবে।

৩। হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী – হৃদয় হলো দেহের প্রধান অঙ্গ যা পুরো শরীর জুড়ে রক্ত প্রবাহ তৈরি করতে কাজ করে। হার্টের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে প্রোটিন প্রয়োজন। মুরগীতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন সি থাকে যা শরীরের জন্য ভাল। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, স্বল্প তেলে মুরগি খাওয়া ক্ষতি করে না, তবে অতিরিক্ত ফ্যাট এবং তেলযুক্ত মুরগি স্বাস্থ্য এবং হার্টের জন্য ক্ষতিকর। 

৪। হজমে সাহায্য করে মুরগির মাংসের ভিটামিন বি-৬ শরীরে বিপাকের মাত্রা উন্নত করে। শরীরে চর্বি না বাড়িয়েই খাবার হজম করতে পারে। রক্তনালী ঠিক রাখতেও এটি কাজ করে। 

৫। চোখ ভালো রাখে অন্য খাবারগুলোর মতো মুরগির মাংসও চোখের সুরক্ষায় কাজ করে। মুরগির মাংসে রেটিনল, আলফা ও বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপেন থাকে যার সবগুলোই ভিটামিন ‘এ’ তে পাওয়া যায়। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এগুলো জরুরি উপাদান। 

৬। ফসফরাসের প্রাচুর্য মুরগির মাংস ফসফরাস সমৃদ্ধ হওয়ায় দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া ফসফরাস কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 

৭। ক্যান্সার প্রতিরোধ – কিছু গবেষণা অনুসারে মুরগীতে গসিপাল উপাদান রয়েছে। এটি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে উপকারী। মুরগি মজাদ থাকে না, তাই মুরগি-চাষীরা এই উপাদানগুলি দেয় যাতে সেটি মানুষের উপযোগী হতে পারে। ক্যান্সার প্রতিরোধে মুরগি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়

 ৮। রক্তাল্পতায় উপকারী – অ্যানিমিয়া আয়রনের ঘাটতিজনিত সময় জন্য হয় যা একটি মারাত্বক রোগ। চিকিৎসকের মতে মুরগীতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। রক্তস্বল্পতা রয়েছে এমন লোকদের জন্য মুরগি খাওয়া উপকারী।

 ৯। নিয়াসিন সমৃদ্ধ শরীরকে ক্যান্সারমুক্ত রাখতে নিয়াসিন একটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন। মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে নিয়াসিন থাকে, যা বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার ও ত্রুটিপূর্ণ ডিএনএ দ্বারা যেসব জিনগত সমস্যা তৈরি হয় তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

 ১০। ত্বকের জন্য উপকারী – মুরগীতে প্রোটিন, শক্তি, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এগুলি ছাড়াও এটি চুলকানি, সংক্রমণ, লালভাবের মতো ত্বকের সম্পর্কিত সমস্যাগুলি দূর করতে সহায়তা করে। মুরগি খাওয়া ত্বকের সানবার্ন হওয়া এবং অ্যাংলিং প্রতিরোধ করে। ত্বকে সম্পর্কিত সমস্যা এড়াতে ডায়েটে চিকেন খাওয়া যেতে পারে।

 ১১। ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে প্রায়শই লোকেরা শীতকালে মুরগির স্যুপ পান করে‌ থাকেন। মুরগি মাংসর স্যুপ পান করার ফলে শরীরে উষ্ণতা তৈরি হয় এবং যা আমাদের শরীর থেকে ঠান্ডা হ্রাস করতে সাহায্য করে। যদি কোন ব্যক্তি সর্দির সমস্যায় পড়ে থাকে তবে সে মুরগির স্যুপ খেতে পারে।

ব্রয়লার মুরগির মাংসের অপকারিতা

প্রতিটি জিনিসের এই উপকারী ও অপকারী দুটি দিক রয়েছে ঠিক তেমনি ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার কিছু অপকারিতা ও রয়েছে বটে চলুন জেনে আসা যাক এর অপকারিতা গুলোঃ
  • অতিরিক্ত তেল এবং ফ্যাটযুক্ত মুরগি খাওয়ার ফলে হার্ট সম্পর্কিত সমস্যা হয়।
  •  ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মুরগি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। 
  • বেশি তাপে রান্না করা মুরগি খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি হতে পারে। 
  • ত্বকের সাথে মুরগি খাওয়ার ফলে স্থূলত্ব হয়।
  • মুরগি যদি কোনও রোগে আক্রান্ত হয় তবে সেই মুরগি খেলে মানুষের শরীরে রোগের সৃষ্টি হতে পারে। 
  • বিষাক্ত আর্সেনিক মুরগির মাংসের মধ্যে বিষাক্ত আসের্নিক পাওয়া যায়। এটি মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। হরমোন ও অন্যান্য ওষুধ ব্যবহারের কারণে মুরগির মাংসে এসব আর্সেনিক পাওয়া যায়।
  • ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত কেবল বিভিন্ন ওষুধ বা হরমোন ব্যবহার করাই নয়, গবেষণায় বলা হয়- ৯৭ ভাগ মুরগির বুকের মাংসে ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমিত হয়ে থাকে। বেশির ভাগ মুরগিতে এই ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়।
  • বৃদ্ধির জন্য হরমোন আগেকার মুরগিগুলোর থেকে এখন অনেক চর্বিযুক্ত বড় মুরগি দেখতে পাওয়া যায়। এর কারণ হলো, মুরগিকে বড় করতে বেশির ভাগ সময় হরমোন ইনজেকশন দেয়া হয়। মুরগির মাংসের মধ্যে থাকা এসব হরমোন মানব শরীরের ক্ষতি করে। 
  •  অ্যান্টিবায়োটিক দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সাধারণত মানব শরীরে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়, সেসব অ্যান্টিবায়োটিক মুরগির শরীরে দেয়া হয়ে থাকে। এসব মুরগির মাংস খাওয়া মানব শরীরে বাজে প্রভাব ফেলে। তাই মুরগি কেনার আগে অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করে কিনুন।

ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়

ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় হলো সঠিক পদ্ধতিতে বা পরিচর্যা করে ব্রয়লার মুরগি পালন করা। এর জন্য প্রথমত ভালোমানের খাদ্য দেয়া জরুরী। এছাড়াও ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে বিভিন্ন ভিটামিন গ্রোথ প্রোমোটার খাওয়ানো যেতে পারে। বাজারে বিভিন্ন ব্রয়লার মুরগির গ্রোথ প্রোমোটার পাওয়া যায়। যেগুলি মূলত বিভিন্ন মাল্টি ভিটামিন। ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় বা সঠিক পরিচর্যা নীচে আলোচনা করা হলো।
  • খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল।
  • খামারে বাচ্চা আনার পূর্বে খামার জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার পরিছন্ন করতে হবে। 
  • খামারটি আলো-বাতাস এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • মুরগির বাচ্চা ব্রুডারে আনার আগে প্রোবাইটিক স্প্রে করা যেতে পারে। 
  • বাচ্চা আনার সাথে সাথে পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
  • সুস্থ সবল ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা খামারে আনতে হবে।
  • একটি ভালো মানের বাচ্চার ওজন ৩৫ গ্রাম হতে হবে।
  • খামারে লিটার শুকনা রাখতে হবে।
  • লিটার ভেজা ভাব হলে তা পরিবর্তন করতে হবে। 
  • ব্রয়লার মুরগির ব্রুডিং এ তাপমাত্রা সঠিক রাখতে হবে।
  • ব্রয়লার মুরগির ২ ব্যাচের মাঝে সর্বনিম্ন ১৫ দিন গ্যাপ রাখতে হবে। 
  • খামারের মুরগি গুলোকে সময় মত ভ্যাকসিন করতে হবে।
  • ১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে।
  • ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। 
  • ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে।
  • ২৫ দিন পর হইতে মাদি এবং ছোট মুরগি বিক্রি করতে হবে।
  • সেগুলো ভালো ভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার ও জীবানু মুক্ত করতে হবে।
  • খাদ্য প্রদানের ১ ঘন্টা থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে খাবার ও পানির পাত্র তুলে আনতে হবে।
  • যে কোনো ঔষধ ব্যবহারকালে সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির জন্য ভালো বাচ্চা, ভালো খাবার ও সঠিক ব্যবস্থাপনাই যথেষ্ট। তবে মুরগি যদি খাবার কম খায় সেক্ষেত্রে মুরগির হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি ও খাবার চাহিদা বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। সেক্ষেত্রে এনজাইম, ভিনেগার, এসিডিফায়ার বা পিএইচ, এমাইনো এসিড সমূহ, প্রোবায়োটিক, প্রিবায়োটিক ইত্যাদি ঔষধ পানিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সকল বিষয় গুলো খেয়াল রাখলে ব্রয়লার মুরগির ভালো ওজন পাওয়া যাবে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে ব্রয়লার মুরগী সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য আপনারা জানতে পেরেছেন। ব্রয়লার মুরগি পালন করতে হলে এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে জানা উচিত। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার মন্তব্য কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ভালো লাগলে ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন এবং কোন কিছু জানতে এবং নতুন নতুন আরো তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url