দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম এর নাম ও দাম কত জানুন - দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি জেনে নিন ২০২৪

জিম্যাক্স ৫০০ এর কাজ কিপ্রিয় পাঠক, আপনারা হয়তো জানতে চেয়েছেন দাউদের সবচেয়ে ভালো মলমের নাম ও দাম কত। দাউদ এক ধরনের ছত্রাক জনিত অস্বস্তিকর চর্মরোগ। যে রোগ থেকে কে না মুক্তি পেতে চাই? তাইতো এই পোস্টটিতে আমরা দাউদ থেকে মুক্তির জন্য দাউদের ট্যাবলেট এর নাম ও দাউদের এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম, দাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। 
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
এছাড়াও এই পোস্টটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে জানতে পারবেন দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম এর নাম ও দাম কত তবে চলুন আপনার সময় নষ্ট না করে জেনে আসি।

দাউদ কি কি কারণে হয়ে থাকে

দাউদ কি কি কারণে হয়ে থাকে সাধারণত ছত্রাকের কারণে দাউদ হয় । যেখানে আলো বাতাস পায় না, ভেজা অথবা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ছত্রাক জন্মায় । আর আমাদের শরীরের মধ্যে দাউদের সংক্রমণ ঘটে। বৈজ্ঞানিক ভাষায় দাউদকে মূলত ফাংগাল ইনফেকশন বলা হয় অর্থাৎ এই ইনফেকশন আমাদের নিজের দ্বারাই শরীর বিভিন্ন অঙ্গে দেখা দিতে পারে। তাই আমরা আজকের এই পোষ্টের মধ্যে দাউদ কি কি কারণে আমাদের শরীরে হয় তা নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তা জেনে নেওয়া যাক --
  • আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যবহার করলে।
  • নিয়মিত মতো গোসল না করার কারণে দাউদে দেখা দিতে পারে।
  • অনেক বেশি টাইট বা চিপা জামা কাপড় পরার কারণে দাউদ হতে পারে।
  • সবসময় কোনো একটি স্থান ভিজিয়ে রাখার কারণে দাউদ দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত হারে ঘেমে যাওয়ার কারণে বা ঘাম ঝরার কারণে দাউদ হতে পারে।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে বা হাতমুখ না ধরার কারণে দাউদ হতে পারে।
  • অতিরিক্ত হারে পরিশ্রম করার কারণে এবং মাংসপেশি সঞ্চালনের কারণে দউদ হতে পারে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা তার ব্যবহার্য জিনিসের সংস্পর্শ থেকে। যেমন -- চিরুনি, তোয়ালে ও বিছানার চাদর ইত্যাদি।
এগুলা ছিল বেশ কয়েকটি কারণ যে কারণগুলোর জন্য আমাদের শরীরের মধ্যে দাউদের সংক্রমণ ঘটে।

দাউদ বা দাদ হলে করণীয়

আমাদের শরীরে দাউদ হলে কি করনীয় রয়েছে তা আমরা একটু জেনে আসি নিচে তা সুন্দর করে দেওয়া হল --
  • আক্রান্ত স্থান চুলকানো যাবে না।
  • জামাকাপড় ঘন ঘন পরিষ্কার করতে হবে।
  • আক্রান্ত স্থান সবসময় শুকনো রাখতে হবে।
  • দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ব্যবহার করতে পারেন।
  • বসবাসের জায়গাসহ সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • সংক্রমিত স্থান প্রতিদিন সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুতে পারেন।
  • খুব বেশি ইনফেকশন হলে দাউদের এন্টিবায়োটিক সেবন করতে পারেন।
  • এটি ছোয়াচে চর্মরোগ তাই আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে রোগীকে।
  • সংক্রমিত স্থান পরিষ্কার করতে হবে বারবার। অন্যের কোন জিনিসপত্র ব্যবহার করা যাবে না।
  • যেসব খাবার খেলে চুলকায় সেগুলো পরিহার করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ -- বেগুন, ইলিশ মাছ ও গরুর মাংস ইত্যাদি।
অবশ্যই দাউদের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট কিংবা ক্যাপসুল এর নাম জেনে খাবেন। তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খেতে হবে।

দাউদের চিকিৎসা বাংলাদেশ

দাউদের চিকিৎসা বাংলাদেশে অনেক ভালো করে করা হয়। আপনারা অনেকেই যে কোনো রোগের কারণে অন্য দেশে যেতে চান। আপনারা অনেকেই জানেন না বাংলাদেশের সকল প্রকার চিকিৎসার এখন খুব ভালোভাবে করা হয়ে থাকে। দাউদের চিকিৎসা বাংলাদেশের প্রায় সকল জায়গায় করা হয়।

আপনি যেখানে বসবাস করেন সেখানে নিকটস্থ কোন মেডিকেল গিয়ে আপনি দাউদের চিকিৎসা নিতে পারেন। এমনকি আপনার যদি মনে হয় বিভাগীয় শহরে গিয়ে ভালো ভালো উন্নত মানের ডাক্তার দেখে চিকিৎসা নিবেন তাও চিকিৎসা নিতে পারেন সব রকমের ব্যবস্থা রয়েছে বাংলাদেশে। আশা করি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে দাউদের চিকিৎসা নিবেন  বাংলাদেশে।

পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা কিনা পুরাতন দাউদ এর সমস্যায় ভুগতেছেন। তো আপনি আপনার পুরাতন দাউদ কিভাবে সারবেন বা এটি কিভাবে ভালো করবেন বা এর সহজও ঘরোয়া কি কি উপায় রয়েছে যেগুলো সেবন করলে আপনি খুব দ্রুতই পুরাতন দাউদ থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার যদি পুরাতন দাউদ হয়ে থাকে।

অর্থাৎ অনেক দিনের দাউদ হয়ে থাকে সেটি যদি না ভালো হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে সব সময় এবং শুকনো জামা কাপড় পরিধান করতে হবে। এছাড়াও আপনি ঘরোয়া কিছু উপায়ে আপনি আপনার দাউদ এর চিকিৎসা করতে পারেন।

মধু ব্যবহার করে -- আপনি যদি আপনার ছত্রাকে প্রতিহত করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মধু ব্যবহার করতে হবে। কারণ মধুর মধ্যে রয়েছে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এবং এর পাশাপাশি একটি ছত্রাক নাশক উপাদান। অর্থাৎ আপনাকে দাউদের স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে সেখানে মধু লাগিয়ে দিতে হয়ে। তাহলে অল্প দিনের মধ্যে দেখবেন আপনার দাউদ আগে থেকে অনেকটা সেরে গেছে।

পেঁপে -- দাউদ এর প্রকোপ কমাতে আপনি পেঁপে এর সাহায্য নিতে পারেন। ফলটিতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান সমূহ এই রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পেঁপে কয়েকটি টুকরো টুকরো করে নিবেন এবং তারপর টুকরো দাউদ লাগাবেন এবং ১৫ মিনিট পর পর তা পানি দিয়ে ধুয়ে দেবেন। তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার দাউদ ভালো হয়ে গেছে।

নিমপাতা -- আপনারা চাইলে নিমপাতার সাহায্য নিতে পারেন এটাও দাউদ কমাতে সাহায্য করে। নিম পাতা তে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক এর উপাদান সমূহ যা চর্ম রোগের জন্য অনেক সহায়ক। নিম পাতা এর সঙ্গে তেল মিশ্রণ করে লাগাতে হবে। এমন হবে লাগালে আপনার দাওয়াত ভালো হয়ে যাবে।

হলুদ -- আপনারা দাউদ এর জন্য হলুদ এর সাহায্য নিতে পারেন। কেননা হলুদে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমূহ যা দাউদ কমাতে অনেক সাহায্য করে। হলুদ ব্যবহার করার সময় হলুদ পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। সেই পানিতে তুলা ভিজিয়ে দাউদ এর ওপর লাগাতে হবে তারপর পরবর্তী সময়ে ধুয়ে ফেলবেন। 

তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার দাউদ আস্তে আস্তে কমে গেছে। আশা করি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন দাউদের চিকিৎসা সম্পর্কে। আশা করছি এই উপাদান গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার পুরাতন দাউদ খুব দ্রুতই সেরে তুলতে পারবেন।

দাউদ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

দাউদ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ অনেকেই এই সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকেন। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব তা হলে দাউদ হলে কি কি খাবার খাওয়া নিষেধ সম্পর্কে। আসুন জেনে নেই দাউদ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। দাউদ হলে মূলত আপনারা প্রথমে ডাক্তারের চিকিৎসা নেবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন। 

ডাক্তাররা আপনাকে যে খাবারগুলো খেতে নিষেধ করবে সেগুলো থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে আপনার দ্রুত ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু বর্তমানে আমরা সবাই কমবেশি জেনে থাকি যে কি কি খাবার খেলে চুলকানি হয়ে থাকে সেইসব খাবার কিছু নিচে দেখানো হলো যেমন --
  • চুলকানি বা এলার্জি জাতীয় খাবার বা সবজি যেমন বেগুন, কচু, পুঁইশাক, হাঁসের মাংস, কচুর শাক ইত্যাদি ।
  • লাল মাংস -- লাল মাংস যেমন গরুর মাংস, ভেড়ার মাংস এবং শুয়োরের মাংসে উচ্চ মাত্রার অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, বিশেষ করে আরজিনিন; এটি হারপিস জোস্টার ভাইরাসের জন্য একটি পুষ্টি হিসাবে বিবেচিত হয়। তাই যতটা সম্ভব লাল মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • কমলা ও হলুদ ফল -- কমলালেবু, আম এবং এপ্রিকট এর মত ফলের রঙ সুন্দর এবং প্রচুর ভিটামিন এবং ফাইবার থাকতে পারে, তবে এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আরজিনিনও থাকে। অতএব, এই ফল খাওয়া কমাতে বা অন্যান্য জাতের সাথে প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার -- এই খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে চকোলেট, জেলটিন, সয়া পণ্য, ওটস, বাদাম, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, টিনজাত টুনা এবং বিভিন্ন শস্য। এই খাবারগুলি আপনার গ্রহণকে এড়াতে বা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে ভুলবেন না।
  • টমেটো এবং তাদের থেকে প্রাপ্ত পণ্য -- টমেটোতে আর্জিনাইন সহ একদল অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা দাদার লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করতে পারে। তাই, টমেটো এবং সস থেকে প্রাপ্ত টমেটো খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।
  • কোমল পানীয় এবং মিষ্টি জুস -- চিনি যুক্ত কোমল পানীয় এবং জুসগুলিতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যা শিংলস ভাইরাসকে খাওয়ায় এবং ইমিউন সিস্টেমকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। অতএব, এই পানীয়গুলি এড়িয়ে চলা বা অন্যান্য কম চিনির বিকল্প ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পরিশেষে একটা কথাই বলতে চায় যে অবশ্যই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং উপরের তথ্যগুলো থেকে আশা করে জানতে পেরেছেন যে কি কি খাবার থেকে আমাদের শরীরে চুলকানি বা দাউদ হতে পারে আর কি কি খাবার থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে ।

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম এর নাম ও দাম কত

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম এর নাম ও দাম কত জানুন
দাউদ এমন একটি রোগ যেটি খুবই অস্বস্তিকর একটি রোগ। এই রোগে যে আক্রান্ত হয় শুধুমাত্র সেই বুঝে এই রোগের কি জ্বালা। তাই তো দাউদ রোগ থেকে সবাই মুক্তি পেতে চায়। তবে দাউদ রোগ থেকে মুক্তির জন্য বাজারে অনেক ধরনের মলম পাওয়া যায়। তারমধ্যে কার্যকারী কিছু দাউদের মলমের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো --

ক্রিম ও মলম এর নাম –

দাম –

Davison Cream

55 taka

Mycofin Cream

65 taka

Elvina Cream

80 taka

Terbex cream

30 taka

Lucazen Cream

90 taka

Infud Cream

65 taka

Lucazol Cream

98 taka

Pevisone

88 taka

Topicazole plus

200 taka

Ring Guard 12 mg

260 taka

রেনাসন ক্রিম

60 taka

অক্সিফান লোশন

90 taka

Fungidal-HC

60 taka

ইকোনেট ক্রিম

400 taka

ক্লোপিরক্স ক্রিম

250 taka

Terbifin

200 taka

Ketoconazole

450 taka

ফানজাইরক্স ক্রিম

100 taka

এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম

320 taka


উপরে দাউদের জন্য কিছু কার্যকারী মলমের নাম ও দাম উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা যারা দাউদ রোগে আক্রান্ত আছেন তারা চাইলে এই মলম গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই মলম গুলো ব্যবহারে খুব তাড়াতাড়ি দাউদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।কিন্তু ওপরের এই মহরম গুলো দাম যে কোন সময় পরিবর্তনশীল হতে পারে ।
বিঃদ্রঃ -- যেকোন মলম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

দাউদের সাবানের নাম

আপনি যদি আপনার দাউদ ভালো করার জন্য সাবান ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সাবান ব্যবহার করতে হবে। কারণ অনেক সময় কিছু কিছু সাবান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার ফলে আমাদের শরীরে এলার্জি থাকার কারণে এটি আমাদের চুলকানি এবং এলার্জি জাতীয় সমস্যা গুলো বেড়ে যায়।

এবং এর পাশাপাশি দাউদ এর চুলকানি তাও বেড়ে যায়। সুতরাং আপনি যদি আপনার দাউদ ভালো করতে চান তাহলে অবশ্যই নিম্নের এই সাবান গুলো ব্যবহার করবেন। আর এটি আপনার দাউদ ভালো করার জন্য খুবই উপকারী সাবান।
  • এসিউর সপ -- ২০০৳
  • Clopirox -- ৩৫০ টাকা
  • TETMOSOL -- ৯৬.৩৬ টাকা
  • লুলিকোনা জল সাবান -- ২৮০৳
  • কিটোকোনাজল সাবান - -৪৫০৳
আপনি যদি এই সাবান গুলো ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন খুব দ্রুতই আপনি দাউদ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অর্থাৎ দাউদের যেই চুলকানি এবং যেই দাগ রয়েছে এই দাগগুলো সবকিছু উঠে যাবে এবং আপনি সুন্দর ফ্রেশ একটি চেহারা পাবেন। তো আশা করি জানতে পেরেছেন যে দাউদ ভালো করার জন্য কোন কোন ভালো সাবান আপনারা ব্যবহার করতে পারেন এ সম্পর্কে।

দাউদের ট্যাবলেট এর নাম - দাউদের এন্টিবায়োটিক

দাউদ খুবই অস্বস্তিকর চুলকানি জাতীয় একটি সমস্যা। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল যার দাউদ হয়নি। দাউদ সাধারণত ছত্রাক জনিত ভাইরাসের কারণে হয়। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। গরমের সময় সাধারণত এই রোগটি আমাদের মাঝে বেশি দেখা যায়। এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে যেমন -- মাথা, বগল, কুঁচকি, নখ, পা ইত্যাদি। দাউদ সাধারণত দেখতে গোলাকৃতির লাল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানাযুক্ত হয়।

আরো পড়ুনঃ Riboflavin এর কাজ কি
এই রোগটি প্রথম অবস্থায় সীমিত আকারে দেখা দিলেও যদি এর সঠিক সময় চিকিৎসা করা না হয় তাহলে জটিল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই আপনারা যদি দাউদের সমস্যায় আক্রান্ত হন তাহলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করুন। তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবশ্যই চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন।

আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা দাউদের বিভিন্ন ট্যাবলেট এর নাম জানতে চাই। তাই এই পোস্টটিতে আমরা দাউদের কিছু ট্যাবলেট এর নাম উল্লেখ করেছি। দাউদের ট্যাবলেট গুলোর নাম হলো --
  • Lucan-R
  • Flugal
  • Canazole
  • Grisovin Fp 500 MG Tablet
  • Phexin 500 MG Capsule
  • Terbin 250 MG Tablet
  • Derma 50 MG Teblet
  • Vori 200 MG Teblet
  • Itra 100 MG Capsule
  • Fluconazole
  • Diflu Tablet
  • Falcon Tablet
  • Flucon Tablet
  • Intracoll Tablet
  • Lulinox Cream
  • ইন্ট্রাকন
  • রাইনিল
  • অমোস্টিন
  • এরটাপেনেম (কার্বাপেনেম গ্রুপ)
  • হেরবিমাইসিন (অ্যানসামাইসিন গ্রুপ)
  • কানামাইসিন (অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড গ্রুপ)
  • নেটিলমাইসিন (অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড গ্রুপ)
  • প্যারোমোমাইসিন (অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড গ্রুপ)
  • অ্যামিকাসিন (অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড গ্রুপ)
  • জেলডানামাইসিন (অ্যানসামাইসিন গ্রুপ)
  • ইমিপেনেম/সিলাস্টাটিন (কার্বাপেনেম গ্রুপ)
  • মেরোপেনেম (কার্বাপেনেম গ্রুপ) ইত্যাদি।
উপরে দাউদের ক্যাপসুল এর কিছু নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা যারা দাউদের সমস্যায় রয়েছেন তারা এই ক্যাপসুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের ত্বক খুবই সেনসিটিভ। তাই যেকোন ঔষধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। দাউদের এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন।

দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ

গ্যাকোজিমা অয়েন্টমেন্ট
ব্যবহারের নিয়ম -- আক্রান্ত ক্ষতস্থান ভালোভাবে পরিস্কার গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ মত এটি দিনে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন। শুধুমাত্র ক্ষতস্থানে এই মলমটি ব্যবহার করা যাবে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। অসুখ সেরে গেলে তারপরও কিছুদিন ব্যবহার করতে হবে।
মূল্য -- গ্যাকোজিমা ৬ গ্রামের দাম ৪৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম টিউব এর দাম ৪২ টাকা মাত্র।

ভরি ২০০ ট্যাবলেট
খাওয়ার নিয়ম -- প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা প্রতিদিন একটি করে ট্যাবলেট খাওয়ার পরে ভরা পেটে খাবেন। ৭ থেকে ১০ দিন এই ট্যাবলেট সেবন করলে আপনি আশানুরূপ ফল পেয়ে যাবেন। এটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য। এটি এককভাবে খেতে পারেন। চাইলে সাথে একটি ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন।
মূল্য -- প্রতি পিস ট্যাবলেট এর দাম ১০০ টাকা মাত্র। এটি স্কয়ার কোম্পানির একটি ওষুধ।

পেভিটিন ক্রীম + ফ্লুগাল ৫০ ক্যাপসুল + এলাট্রল ট্যাবলেট
সেবনবিধি ও ব্যবহারের নিয়ম -- পেভিটিন ক্রীমটি আক্রান্ত স্থান গরম পানি নিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিনে দুইবার সকালে এবং রাতে লাগাতে হবে। সাথে আপনাকে ফ্লুগাল ৫০ ক্যাপসুল প্রতিদিন একটি করে খেতে হবে টানা ১০ দিন। এটি খাওয়ার পর ভরা পেটে সেবন করতে হবে। 

এছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি থাকলে এলাট্রল ট্যাবলেট করতে পারেন। এটি সেবন করলে ঘুম হবে বেশি। তাই একটি করে সেবন করার চেষ্টা করবেন। যাদের ঘুম কম তারা প্রতিদিন সকালে এবং রাতে একটি করে সেবন করতে পারেন।

মূল্য -- পেভিটিন ক্রীম ৬৫ টাকা , ফ্লুগাল ৫০ ক্যাপসুল ৮.০৭ টাকা পিস এবং এলাট্রল ট্যাবলেট ৩ টাকা পিস।

এছাড়া আরো কিছু ভালো দাউদ এর ঔষধ এর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো --
  • বিলাস্টিন (Bilastin) ট্যাবলেট
  • এরিস্টোডার্ম (Aristoderm) ক্রিম
  • নকটেন
  • সিডিল
  • পারকেলিন
  • রিলাক্সেন ৫
  • ইজিয়াম
  • মাইলাম
  • ডরমিকাম

দাউদ ও চর্ম রোগের ডাক্তার

প্রিয় পাঠক, আমরা চর্মরোগ বলতে বুঝি আমাদের শরীরের অনেক সময় নানা ধরনের চুলকানি এলার্জি দাউদ শরীরের ফোসকা ফোসকা চাকা চাকা দাগ ইত্যাদি কে বুঝে থাকি। এই চর্মরোগ বা দাউদ হলে সাধারণত আমরা আমাদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে থাকে এমনকি খুব বেশি সমস্যা হলে বিভাগের শহরে গিয়ে। 

ভালো ভালো বড় ডাক্তারদের থেকে পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়ে থাকি এবং তারা নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের ঔষধ সেবন করতে বলে বা মলম ব্যবহার করতে বলে। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবহার করে থাকি। এই চর্ম রোগের ডাক্তার গুলোর নাম কিছু উল্লেখ করে দেওয়া হল যেসব ডক্টর রাজশাহীতে চেম্বার করে থাকে যেমন --
  • ডাঃ মোঃ মোকসেদুর রহমান
  • ডাঃ মোঃমুস্তাফিজুর রহমান
  • ডাঃ মোঃ আল-আমিন হোসেন
  • ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম
  • ডাঃ মোঃ আলমগীর রেজা
  • ডাঃ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ইত্যাদি
ডাক্তার আরো অনেকেই রয়েছে। কিন্তু আপনারা যদি ডাক্তারদেরকে দেখাতে চান তাহলে সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
এই নাম্বারে – ০১৭৫০৮৮১৯৫৯  ।

লেখকের শেষ কথাঃ দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণের মধ্যে হয়তো আপনারা দাউদের ট্যাবলেট এর নাম, দাউদের এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম, দাউদের মলমের নাম ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে ও বুঝতে পেরেছে। তবে আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই উপরে উল্লেখিত দাউদের ট্যাবলেট, এন্টিবায়োটিক, দাউদের মলম ইত্যাদি ঔষধ গুলো আমরা উল্লেখ করেছি দেখে আপনারা বাজার থেকে কিনে এনে ব্যবহার করবেন না।

ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। কারন আপনি যদি নিজে নিজেই এই ওষুধগুলো ব্যবহার করেন তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আশা করি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করবেন এবং পোস্টটি বিষয়ে কোন কিছু বুঝতে না পারলে বা প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট বক্স হয়েছে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এতক্ষণ পোস্টে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাহারাব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Click Here

Post Page Ad After Post Ends